করোনা সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ নেই: মির্জা ফখরুল

0

করোনা সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে করোনা সংক্রামণ মারাত্মকভাবে, ভয়ংকরভাবে বাড়ছে। গতকালই দেখলাম স্বাস্থ্যবিভাগ একটা ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে কিন্তু এটা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের যে উদ্যোগ সেটা কখনোই লক্ষ্য করাযায়নি।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে সব সময় একটা মিথ্যা প্রচারণা করা হচ্ছে যে, এখানে খুব চমৎকারভাবে সরকার করোনাসমস্যাটাকে সমাধান করছে, তারা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছে। কিন্তু ইট ইজ লায়িং। যেটা একেবারেই মিথ্যা কথা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমার যেটা আপত্তি, আজকে যে স্বাস্থ্য বিভাগ ১৮ দফা দিয়েছেন পালন করার জন্য। সরকারেরউদ্যোগটা কোথায়? সেখানে একটা টোটাল হেলথ মিনিস্ট্রি থেকে শুধু না, সরকারের পক্ষ থেকে যে দৃশ্যমান একটা ক্যাম্পিংথাকবে, প্রচার থাকবে, উদ্যোগ থাকবেসেটা কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তারা (সরকার) ফ্যাক্টসগুলোকে গোপন করছে, ডাটাগুলোকে গোপন করছে। এর আগে টেস্টইকরেনিযে করতে পেরেছে তার ওপর তারা নিদের্শনা দিয়েছে। এখনও আপনার যে টেস্ট হচ্ছে তা খুবই কম। আমি এর আগেবলেছি যে, আমার বাসার ছেলে সে গিয়েছিলো টেস্ট করতে, এক ঘন্টার মধ্যে বলেছে যে, টেস্ট হবে না, তার পরের দিন আসো।এভাবে টেস্টগুলো হচ্ছে না। শুধু ঢাকাতেই না সারা বাংলাদেশেই টেস্টেগুলো হচ্ছে না।

আমরা মনে হয় তো ১০ শতাংশও টেস্ট হচ্ছে না, আমার ধারণা এটা। এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী সরকার। তারা কখনোইএটাকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করা বা সেটার জন্য একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা এই কাজগুলো তারা করে নাই।

করোনা সংক্রামণ থেকে রক্ষায় মাস্ক পরার বিষয়ে প্রচারণা চালানোর প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, এই যে, জনগণেরএওয়্যানেসের অভাব আমরা দেখতে পারছিমাস্ক পরে না। কেনো পরে না? কারণ সরকার সেটা তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হননি।যে ক্যাম্পিং করা দরকার, যে উদ্যোগটা নেয়া দরকার, সেই উদ্যোগটা আসেনি সরকারের কাছ থেকে। যার ফলে সংক্রামণমারাত্মকভাবে বাড়ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই যে, উৎসব পালন করা যে, বিদেশি মেহমানরা আসছেন। তার অনেক আগেই স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেবলা হয়েছিলো যে, করোনা খুব মারাত্মকভাবে আসছে, অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। কারণ তারা উৎসব পালন করার জন্য, বর্ষপালন করার জন্য তখনও করেননি, এখনো তারা করেননি। এখন যেহেতু উৎসব শেষ হয়েছে, তাদের মহান অতিথিরা চলেগেছেন। এখন তারা এই বিষয়টা আবার আনছে সামনে।

করোনা সংক্রামণ মোকাবিলায় জনগণের প্রতি কোনও দায়বদ্ধতা সরকারের নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারতো নির্বাচিতই না। নির্বাচিত না হলে তো জনগণের প্রতি সেই সরকারের কোনও দায়বন্ধতা থাকতে পারে না। তাদের কোনওদায়বদ্ধতাই নাই। মানুষ মরলো কি বাঁচলে তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। তারা ক্ষমতায় থাকবে, লুট করবে এবং সেটা দিয়েতারা সম্পদ গড়ে তুলবে। আজকে সেজন্য তারা বাংলাদেশকে সত্যি কথা বলতে কীএখানে যেমন বর্গীরা আসতো, ইস্ট ইন্ডিয়াকোম্পানি যেমন বাংলাদেশে, ভারততে লুন্ঠন করেছে, পাকিস্তানিরা যেমন লুন্ঠন করেছে এরাও একই কায়দায় বাংলাদেশকে লুন্ঠনকরছে বাংলাদেশকে। একটা গোষ্ঠি তারা বিত্তবান থেকে আরও বিত্তবান হচ্ছে। আর বেশিভাগ মানুষ গরীব থেকে আরও গরীবহচ্ছে।

করোনা সংক্রামণ থেকে রক্ষায় দলের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি স্থগিত করার কথা পুনরুল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিববলেন, আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধ্য হয়েছি যখনতারা (সরকার ক্ষমতাসীন দল) আমাদের জনগণের ওপর এভাবে আক্রমণ করেছে, হামলা করেছে তার জন্য। পরবর্তি সিদ্ধান্তআমরা আমাদের দলের মিটিং করে আপনাদের জানাবো।

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচারসম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, তথ্য গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com