মানুষ হত্যার জন্য ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: আইনজীবী ফোরাম

বিএনপির আইনজীবীরা দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার ও আন্দোলনের ম্যাগনাকার্টা হতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশজাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রাহমান।

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালনের সময় তিনি এ কথাবলেন।

ফজলুর রাহমান বলেন, ‘এ সরকার অনৈতিক অবৈধ। এ সরকার নিশি রাতে ভোট ডাকাতি করে জনগণের অধিকার হরণ করেক্ষমতা দখল করে আছে। এ সরকারও নিশি রাতের সরকার।’

তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে বলেন, ‘মোদি সাম্প্রদায়িক ও হত্যাকারী। যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত এদেশের সরকার কারো দাসত্ব মেনে নেবে না। প্রয়োজনে আবারও যুদ্ধ হবে।’

অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রাহমান বলেন, ‘এ সরকারের পতন একমাত্র রাজপথেই হবে। আইনজীবীরা এ আন্দোলন সামনেথেকে নেতৃত্ব দেবেন।’

আরে আগে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এর পরেআইনজীবীরা সমাবেশ করেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুস ভূঁইয়ারসভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সজলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন– সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির(বার অ্যাসোসিয়েশন) সাবেক সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিনখোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপির সাবেক মানবাধিকারও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীম, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবেদ রাজা, সুপ্রিমকোর্টআইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী, কাজী তৌহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মাহবুবসহ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ। শতাধিকআইনজীবী এ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।

ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর নামে দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে। দেশের মানুষ এ উৎসবকোথায় কীভাবে হয়েছে তা উপলব্ধি করতে পারেনি।’

ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম বলেন, ‘এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ বর্তমান জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা সরকারের পতননিশ্চিত করবেই। মানুষ যে আশা ও লক্ষ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল সেটি এখনও অর্জিত হয়নি। শহীদ জিয়ার আহ্বানে যেভাবেমুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিকামী মানুষ সেভাবেই এখন লড়াই করে মানুষের অধিকার আদায় করতে হবে।’

আইনজীবী আবেদ রাজা বলেন, ‘পানসে কর্মসূচি নয় মানুষের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি দিয়ে অনৈতিক সরকারেরপতন নিশ্চিত করতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্র রুখে দেবে দেশের মানুষ।’

কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, ‘শহীদ জিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরেঅংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীনতা অর্জনের অসামান্য অবদান রেখেছেন। তার দল দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে চলমানঅপশাসনের অবসান ঘটাবে।’

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ করতে গেলে কয়েকজনকে হত্যা করেছেসরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভবিষ্যতে এজন্য তাদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’

সভাপতির বক্তৃতায় সুপ্রিমকোর্ট বারের সহ–সভাপতি ও আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট ইউনিটের সভাপতি আবদুস জাব্বারভূঁইয়া বলেন, ‘শেখ হাসিনা এদেশে ভারতের সেবাদাসী। জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এ সরকারের পতন নিশ্চিত করবে।’