গণতন্ত্র এখন আওয়ামী লীগের হাতে বন্দি: মির্জা ফখরুল

0

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজ থেকে ৫০ বছর আগে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধেঅংশ নিয়েছিলাম। এখন আমরা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, যে লক্ষ্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলামসেই আশা পূরণ হয়নি। বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, ‘দেশে চলছে গণতন্ত্রের সঙ্কট। এটা শুধু বিএনপির না, সমগ্র জাতির সঙ্কট। গণতন্ত্র এখন আওয়ামী লীগের হাতেবন্দি।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষেএশিয়াপ্যাসিফিক বিএনপি বছরব্যাপী কর্মসূচিরউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানুষের কথা বলার অধিকার মানবাধিকার নেই। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দেশের মানুষ বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে জিম্মি। এরকারণ হচ্ছেআওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী নয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পাকিস্তানীদের মতো বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তারা রক্ষীবাহিনীগঠন করে যেভাবে নিপীড়ন করতো এখনও সেইভাবে করছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে কোনও একক ব্যক্তি বাদলের অবদান ছিল না। আমাদের পূর্বপুরুষ বিশেষ করে মওলানা ভাসানীসহ আরও কয়েকজন, শেখ মুজিবুর রহমানেরঅবদান ছিল। কিন্তু তাদের কথা বলা হচ্ছে না। দেশে এখন সুবর্ণজয়ন্তী পালন হচ্ছে না, বরং মুজিব জন্মশতবর্ষ পালন হচ্ছে।এই সুবর্ণজয়ন্তীতে সাধারণ মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণ নেই। এখানে শুধু কিছু আমলা এবং একজন মাত্র ব্যক্তিকেসামনে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দেশের নতুন প্রজন্মকে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ভ্রান্ত ইতিহাস জানাচ্ছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আধুনিকবাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করে গেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের যত উন্নয়ন তার সূচনা করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। অথচআওয়ামী লীগ সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে আজ ন্যায়বিচার আইনের শাসন নেই। আমরা ন্যায়বিচার পাই না। আমাদেরচেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেনির্যাতন করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। সারাদেশে আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে এক লাখেরও বেশি মামলা। ৫০০শতাধিক নেতাকর্মী গুম হয়েছেন। সহস্রাধিক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব বহির্বিশ্বে দলের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সবাইকে আরও বেশি সংগঠিত হয়েজোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা আর বিভক্ত না হয়ে সংঘবদ্ধভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্যআন্দোলন গড়ে তুলি। একইসাথে বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতেও আন্দোলন করতেহবে। বিএনপিতে কোনও গ্রুপ থাকতে পারে না। সবার একটাই গ্রুপ তা হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গ্রুপ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com