জনগণের বিস্ফোরণে রক্ষা পাবেন না: হাসিনাকে আলাল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির যুগ্ম–মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেমহোসেন আলাল বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দেন, জিনিসপত্রের দাম কমান, মানুষকে কথা বলার স্বাধীনতা দেন। তানা হলে জনগণ বিস্ফোরণ ঘটাবে, আর সেই বিস্ফোরণের রক্ষা পাবেন না।
বুধবার (১০ মার্চ) খিলগাঁও তালতলা মোড়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র উদ্যোগে দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচন ও ডিজিটালনিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, সামনে রমজান মাস আসছে। বাজারে যান, খোঁজ নিয়ে দেখেন, জিনিসপত্রের দাম তিন চার গুণ ইতিমধ্যে বেড়েগেছে। পেঁয়াজের, লবণের ও তেলের দাম বেড়ে গেছে। হাসিনার উপদেষ্টাদের সাথে ব্যবসায়ীরা বৈঠক করেছে এই ফাঁকে হাজারহাজার কোটি টাকা কীভাবে লুটপাট করা যায়।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে বক্তব্য দেয়া শুরু করেছে। তাতে মনে হচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যে বলবেন, জিয়া উদ্যানের কবর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে মারার জন্য ব্রাশফায়ার করছে। তিনি (হাসিনা) যা খুশি তাই বলেযাচ্ছেন।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, এই যে ডিজিটাল কালো আইন। এই আইনের মধ্য দিয়ে যে কুকীর্তি গুলো হচ্ছে। এই কুকীর্তিবন্ধ করার জন্য হলেও এ আইন বাতিল করা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে যুবদলের সাবেক সভাপতি আরও বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য পুলিশকে লেলিয়েদিয়েছেন। আপনার নিজের ঘরে যে হাডুডু খেলা হচ্ছে। সেগুলো আগে বন্ধ করেন। নোয়াখালীতে কাউয়া মুক্ত আওয়ামী লীগ ওকাউয়াওলা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে লেগে গেছে। ইতিমধ্যেই ৩/৪ টা উইকেট পড়ে গেছে। ড্রেসিং রুমে প্রায় আরও ৭০জন অপেক্ষা করছে। কাউয়াকে থামাতে পারছে না, কাউয়াবিরোধী কেউ থামাতে পারছে না। পুলিশরাও আহত হয়েছে। পুলিশভাইয়েরা সেটা চোখে দেখে না।
বিএনপির এই যুগ্ম–মহাসচিব বলেন, পুলিশে ২ ভাগ হয়ে গেছে। পুলিশের এক ভাগ বলছে, মেজর সিনহাকে হত্যা করেছে ওসিপ্রদীপ, আর এক ভাগ সেটার বিরুদ্ধে নারাজি দিচ্ছে। আবার হাজী সেলিমের ছেলেকে একভাগ মামলা দিচ্ছে, আর এক ভাগছেড়ে দিচ্ছে। এই নাটকগুলো কেন করা হচ্ছে?
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই। মানুষ আশায় আছে বেগম খালেদা জিয়াকে মাঠেদেখার জন্য। বেগম খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দেন, জিনিসপত্রের দাম কমান, মানুষদেরকে কথা বলার স্বাধীনতা দেন। তা না হলেজনগণের যে বিস্ফোরণ ঘটবে, সেই বিস্ফোরণের রক্ষা পাবেন না। যত সুরক্ষিত অবস্থায় থাকেন না কেন। আগুনের লেলিহানশিখা যেখানে যাবে সবকিছু পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের দাবিগুলো মেনে নেন।
ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্তসভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটিরসদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম–মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপিরসভাপতি হাবিব–উন–নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, এবং অন্য পাঁচ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী যথাক্রমে অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সরোয়ার, নজরুল ইসলাম মঞ্জুঅ্যাডভোকেট, ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন উপস্থিত রয়েছেন।