হাসিনা সরকার রাজাকারের পরিবারে ‘মেয়ে বিয়ে দিয়ে’ জিয়ার নামে মিথ্যাচার করছে: রিজভী
১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপিরসিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নিজেরা রাজাকারের পরিবারে মেয়ে বিয়ে দিয়ে আত্মীয়তাকরছেন, আর দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন।’
সরকারপ্রধানের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা গত সোমবার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মানসিক বিকৃতির বহিঃপ্রকাশ। দেশের একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এধরনের নির্জলা কুৎসা রটানোর মতো জঘন্য কাজ কেউ করতে পারে বলে মনে হয় না। শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৫ মার্চে যখনরাস্তায় রাস্তায় সারাদেশে জনগণ ব্যারিকেড দিচ্ছে চট্টগ্রামেও দেশবাসী ব্যারিকেড সৃষ্টি করলে জিয়াউর রহমান নাকি গুলিকরেছিল। তাহলে তিনি কত বড় পারভারটেড (ইতিহাস বিকৃতিকারী)। আসলে চারিদিকে ধিক্কার উঠেছে।’
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনার পিতা যার যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকার আহ্বানজানিয়েছিলেন। কিন্তু আপনার পিতা তো নিজেই পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য স্যুটকেস গোছাচ্ছিলেন। আসলে প্রধানমন্ত্রীর মাথাখারাপ হয়ে গেছে।’
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধানঅতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ভোটারবিহীন বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির প্রতিবাদ মিছিল থামবে না বলেও এসময় হুঁশিয়ারিউচ্চারণ করেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তি দাবিতে এই বিক্ষোভ হয়। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয়কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোঁরা প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনেসমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।
রুহুল কবির রিজভী দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন ভোট চোর সরকারের বিরুদ্ধে আমাদেরপ্রতিবাদ মিছিল থামানো যাবে না। আমাদের প্রতিবাদী মিছিলে তরুণ যুবকদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। অবৈধআওয়ামী লীগ সরকারের রাজ সিংহাসন ধুলায় মিশিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আমাদের মিছিল থামবে না।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যুবদল নেতা রফিকুল আলম মজনুকে গ্রেফতার করে ক্ষমতায় টিকে থাকারদিবাস্বপ্ন পূরণ হবে না।’ এসময় তিনি যুবদল নেতা জাকির হোসেন সিদ্দিকী ও শরীফ সহ সবার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সাধারণসম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মো. আবুল হাসান, মেহবুব মাসুম শান্ত, তোফাজ্জল হোসেনকাজল, ফারুক পাটোয়ারীসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।