বর্তমান সরকার দেশের কৃষক সমাজকে ‘ধ্বংসের শেষ প্রান্তে’ নিয়ে এসেছে: দুদু
বর্তমান সরকার দেশের কৃষক সমাজকে ‘ধ্বংসের শেষ প্রান্তে’ নিয়ে এসেছে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস–চেয়ারম্যান ও কৃষকদলেরআহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষককুল আজ দিশেহারা।’
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪র্থ জাতীয় সম্মেলনউপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১২ মার্চ এই সম্মেলন হবে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘কৃষকের ওপর সকল নির্যাতন–নিপীড়ন, শোষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশেরনিপীড়িত–নির্যাতিত কৃষক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার কৃষক আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে কৃষকেরন্যায্য দাবি আদায় করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশের কৃষিখাতে যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণের ফলে দেশকেখাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে বিদেশে রফতানি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে১৯৯১–১৯৯৬ এবং ২০০১–২০০৬ সালে বৈপ্লবিক কর্মসূচি গ্রহণের ফলে দেশের কৃষি ব্যবস্থা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে যায়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি এবং কৃষকের জন্য যা কিছু কল্যাণকর তার সবই করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতিজিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাদের অনুসরণ করে চলেছেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতা জননেতা তারেকরহমান। ঐতিহাসিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়লাভ করার পর ৬ষ্ঠজাতীয় সংসদে পাস করেন।’
দুদু বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং শ্রমশক্তির সবচেয়ে বড় যোগানদার এ দেশের কৃষিব্যবস্থা। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষএখনও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের ৭০ শতাংশেরও বেশি জনশক্তি কৃষিকাজে নিয়োজিত আছে।দেশ যে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে গর্ব করে তার ৯০ ভাগই আসে কৃষকের সন্তানদের প্রেরিত অর্থ থেকে। দেশের সকল শিল্পপ্রতিষ্ঠানেসস্তা শ্রমের যোগানও আসে কৃষকের সন্তানদের মাধ্যমে। দেশের উৎপাদিত এবং আমদানিকৃত সকল পণ্যের সবচেয়ে বড়ভোক্তাও এদেশের কৃষক সমাজ। অথচ বাংলাদেশের কৃষককুল আজ দিশেহারা।’
কৃষকদলের আহ্বায়ক লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, ‘দেশের প্রতিটি কৃষক নানাভাবে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হচ্ছে। অথচ তাদেরপাশে কথিত সরকারের কেউ দাঁড়াচ্ছে না। কোথাও কোথাও অবৈধ ক্ষমতাসীনদের লালিত সন্ত্রাসীরা কৃষকের জমি দখল করছে।আবার কোথাও ফসল, পুকুরের মাছ, গবাদি পশু গাছপালা কেটে লুটতরাজ করে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষক নির্বিঘ্নে তার প্রয়োজনে জমিক্রয়–বিক্রয় করতে পারে না ক্ষমতাসীন দালাল ফড়িয়াদের কারণে।’