নারী দিবসে পৃথিবীর সকল নারীদের জানাই শুভেচ্ছা
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day),। দেশ জুড়ে বা বলা চলে বিশ্বজুড়ে এইদিন সব মেয়েদের সম্মানজানানো হয়,। যদিও আজকের দিনে নারী বলে তাঁদের জন্য আলাদা কোনও দিনের প্রয়োজন নেই,। কারণ তাঁরা যে স্বয়ংসিদ্ধা,।
বাংলাদেশে নারী সমাজের আর্থ–সামাজিক উন্নয়ন, নারী অধিকার রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতা সৃষ্টির জন্য দিবসটির গুরুত্বঅপরিসীম থাকলেও, দেশে নারীদের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়নি,। দেশের বিদ্যমান আইনেও নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্যচরম মাত্রায় বিরাজমান,। সেজন্য নারীসমাজের পক্ষ থেকে সিডও সনদের পূর্ণ স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নের দাবি উত্থাপন করা হলেওতা উপেক্ষিত হয়েছে বার বার,। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণীত হলেও সেখানে সম্পত্তিতে নারী–পুরুষের সমঅধিকারনীতি হিসেবে ঘোষিত হয়নি,। অথচ সংবিধানের ২৮ (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে – কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ–নারী–পুরুষ ভেদ বাজন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না,। শুধু তা–ই নয় দেশের বর্তমান শাসনকালে নিরাপত্তাহীনতা এখন নারীর এগিয়ে চলার পথে এক বড় বাঁধা,। বাংলাদেশের বেশির ভাগ নারী নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকারহন,।
ফলে শুধু নারী দিবসেই নারীর অধিকার আদায়ারে দাবি উত্থাপন করলে নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না,। এর জন্যকঠোরতার সহিত ধারাবাহিক নারী আন্দোলন প্রয়োজন,। এবং পাশাপাশি প্রয়োজন নারীর প্রতি অবমাননাকর আচরণ বন্ধেসামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা,। কেননা ইতিবাচক ব্যবহারও নারীর প্রতি আচরণে পরিবর্তন আনতে পারে,।
পরিশেষে শুধু বলবো দেশে নারীদের ওপর হওয়া বৈষম্য, নির্যাতনের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদে, সমাজে নারীদের সমঅধিকারপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নারীদের জাগ্রত করাই হোক নারী দিবস পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য,।
–ডালিয়া লাকুরিয়া