জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বিএনপি নেত্রী নায়াব ইউসুফের গাড়ি বহরে হামলা
ফরিদপুরের সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে নায়াব ইউসুফ বলেন, হামলাকারীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তার গাড়িতে আঘাত করতে থাকে। এতে সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। তার গাড়ির সামনে মোটরসাইকেল রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে গেরদার আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি মনোনীত (ধানের শীষ) প্রার্থী মো: আরিফ হোসেনের সমর্থনে আয়োজিত এক নির্বাচনী সভা শেষে সন্ধ্যার পর নায়াব ইউসুফ বুকাইলের মোড় এলাকায় গণসংযোগে নামেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নায়াব ইউসুফের প্রচারণাকালে পাশের স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রার্থীর পূর্বনির্ধারিত একটি নির্বাচনী সভার প্রস্তুতি চলছিল। কিছুক্ষণ পর সেখানে ফরিদপুর থেকে আওয়ামী লীগের জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হলে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা সমাবেশস্থল ছেড়ে রাস্তায় চলে আসেন এবং জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আকস্মিক নায়াব ইউসুফের গাড়িতে হামলা করে।
এ সময় নায়াব ইউসুফের সাথে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো: আব্দুল লতিফ মিয়া, বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান চৌধুরী পংকজ, কোতয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান রঞ্জন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ, মহিলা দলের নেত্রী নাজনীন আরা, মৎসজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো: সেলিম মিয়া, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক নেতা এম এম ইউসুফ, রুকসুর সাবেক ভিপি মো: সেলিম মিয়া, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথীল, বিএনপি নেতা শের শাহ ও ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় সেখানে কর্তব্যরত কোতয়ালী থানার একজন এসআই ও সাদা পোষাকে কর্মরত ডিবি পুলিশের একজন কর্মকর্তা তাদের গাড়িটি নিরাপদে বের করে আনার ব্যবস্থা করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামানকে বিষয়টি অবহিত করেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানতে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। অপরাধ যেই করুক কারো প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হবে না। নির্বাচনে যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে নায়াব ইউসুফ অভিযোগ করে বলেন, গেরদায় ধানের শীষের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করায় তিনজনের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে। এ ছাড়া নিজেরাই নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলা হামলায় হয়রানির চেষ্টা করছে। উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ টাকা বিলিবন্টন করা হচ্ছে।
এ সময় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে এ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সহায়তা কামনা করেন তিনি।