সাত কলেজে পরীক্ষা হতে পারলে অন্যদের দোষ কোথায়, প্রশ্ন মিলনের
ছাত্রদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। এটা হয়েছে তাদের ঘরে বসিয়ে রাখায়। এ কারণেই আজ তারা পরীক্ষার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। পরীক্ষার বিকল্প পরীক্ষা। অটোপাস হতে পারে না। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতা এহসানুল হক মিলন এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি ভালো। ভ্যাকসিনও এসে গেছে। তাছাড়া পরীক্ষা চলছিল নিরবচ্ছিন্নভাবে। হঠাৎ কি এমন হলো যে, পরীক্ষা নেয়া বন্ধ করে দিতে হলো? তিনি আরো বলেন, ৭ কলেজের পরীক্ষা হতে পারলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা কলেজে কেন পরীক্ষা হতে পারবে না? এর রহস্যটা কি? এটা জাতি জানতে চায়।
মিলন বলেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল শিক্ষার্থীর জন্য করোনার টিকা বাধ্যতামূলক করে কাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারে সরকার। এটা সরকারের জন্য কঠিন কাজ নয়। কেন ছাত্রদের আরো ৩ মাস অপেক্ষা করতে হবে? ছাত্রদের জীবন থেকে যে সময় চলে যাচ্ছে তা কোনোভাবে পুষিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।
সাবেক এই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যে সরকার অর্থনীতির চাকা ঘুরাবেন, উন্নয়নের চাকা ঘুরাবেন আর শিক্ষার চাকা না ঘুরিয়ে শিক্ষাকে ছুটিতে পাঠাবেন এটা তো হতে পারে না। শিক্ষার চাকা না ঘুরলে কখনই উন্নয়নের চাকা ঘুরবেনা। সরকার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সংশয়ের মধ্যে রেখেছে। গত ১ বছর ধরে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের মধ্যে রেখে শেষ পর্যন্ত তাদের অটোপাস দেয়া হলো। তথ্য-প্রযুক্তির যুগে পৃথিবীর কোনো দেশে অটোপাস দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র ডিজিটাল বাংলাদেশে দেয়া হলো অটোপাস। অথচ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যেতো। যেখানে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। উপকেন্দ্র বাড়িয়ে বেশি শিক্ষকের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া যেতো।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পুরো জাতিকে ছুটিতে পাঠাতে চায় সরকার। কারণ সরকার জানে তাদের কর্মকাণ্ডে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনে ছাত্ররা যেন অংশগ্রহণ করতে না পারে এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলে ছাত্রদের ঘরে বসিয়ে রেখেছে। এ আন্দোলনকে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন বলার সুযোগ পায়নি সরকার। কারণ ছাত্রলীগ সমর্থিত ছাত্ররাই পরীক্ষার দাবিতে এ আন্দোলন করছে।