স্বাধীনতা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়: আলাল

0

স্বাধীনতা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সা‌বেক সভাপ‌তি অ্যাডভোকটে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘আল-জাজিরা সরকারের এমন জায়গায় ঘা দিয়েছে যাতে তারা (সরকার) ভয়ে আঁতকে উঠেছে। দেশের মানুষকে ভয় পান না। বিদেশি গণমাধ্যমকে ভয় পেয়েছে।’

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলাল বলেন, সাবেক সরকারি দল ও বর্তমান দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে। কিন্তু এটা সুবর্ণজয়ন্তি না। এটাকে সরকার করেছে স্বাধীনতার বিবর্ণ জয়ন্তি। এটার যে সার্বজনীনতা, সবার অংশগ্রহণমূলক তা নষ্ট করে ফেলেছে সরকার।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আল জাজিরা আপনাদের কাপড়-চোপড় খুলে ফেলেছে তার জন্য তো আমরা দায়ী না। আপনারা তো এমনিতেই বিবস্ত্র, আপনাদের ভিতরে বাহিরে কি আছে সব দেখা যাচ্ছে। তার পরেও আল-জাজিরা আপনাদের এমন জায়গায় ঘা দিয়েছে আপনারা ভয়ে আঁতকে উঠেছেন। দেশের মানুষকে ভয় পান না। বিদেশি গণমাধ্যমকে ভয় পেয়েছে। ভয় পেয়ে কি করা যায়, এমন একটা জায়গায় হাত দিয়েছে।’

তিনি বলেন, বীর উত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই নেতা, যার ছবি বাঁধাই করার জন্য কোন আইন করা লাগে নাই বিএনপি। এই আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সংসদে আইন পাস করেছিল শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাঙলে এত হাজার টাকা জরিমানা, এত বছর জেল। এবং ছবি পাহারা দেওয়ার জন্য পুলিশ, বিডিআর এবং অন্যান্য বাহিনীকে নিযুক্ত করেছিল যাতে তার ছবি ভাঙচুর না হয় কোথাও। আর জিয়াউর রহমান সেই নেতা যার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণা করা লাগে না। যেটা আওয়ামী লীগ করেছে ১৫ আগস্টকে।

তিনি বলেন, এই প্রস্তাবটা তুলেছিলেন শাজাহান খান আর তা সমর্থন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল। শাজাহান খান গণবাহিনীর লোক। শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকা অবস্থায় জাসদের তৈরি এই গণবাহিনী অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে।

১৯৭২ সালে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হত্যা শুরু হয়েছিল মন্তব্য করে যুবদলের সাবেক সভাপতি বলেন, নোয়াখালীর চাটখিল থানা কমান্ডার মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিনকে আগুনে পুড়িয়ে মারার মধ্য দিয়ে ৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের থানা কমান্ডারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এই শাজাহান খান এর গণবাহিনীর দল। নবাবগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক মাস্টার, দোহার থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুনির্মল সিং, এরকম অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে শাজাহান খানের লোকেরা। যারা বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের লোক ছিল।

তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ভিডিও দেখবেন যেকোনো আওয়ামী লীগ ছাড়ায়, শেখ মুজিবুর রহমান চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন কিন্তু তিনি কি তাদের বিচার করেছেন? বরং তাদের সাথে করে নিয়ে এই বাকশাল কায়েম করেছেন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com