বাংলা শিখিয়েছে বাঘের বাচ্চার মতো লড়বি, বিড়াল দেখে ভয় পাবি না: মমতা
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের আগে ভাতিজা তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে সিবিআই এর নোটিশ প্রসঙ্গে নাম না করে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ধমকানি-চমকানি আর জেল-টেল দেখিয়ে প্লিজ আমাদের ভয় দেখাবেন না। এসব আমরা অনেকদিন আগে পার হয়ে এসেছি। বন্দুকের সঙ্গে যারা লড়াই করে এসেছি তারা আবার নেংটি ইঁদুরের সঙ্গে লড়াই করতে ভয় পাবো কেন?’ আউটলুক ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়।
মমতা বলেন, ‘চিরকাল আমি একটা জিনিস দেখছি। বাংলা রাজ্যটার প্রতি বঞ্চনার একটা ভাব। বিমাতৃসুলভ একটা আচরণ। আর যদি বাংলার কেউ বড় হয়ে যায় তাকে নীচে টেনে নামানো। তার জন্য নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, রাজা রামমোহন রায় কাউকে রেয়াত করা হয়নি।
এ জিনিস কেন হবে’?
দিল্লির বিরুদ্ধে বাংলার ওপর আগ্রাসনের অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘বাংলা মানে সব থেকে খারাপ, এই একটা অ্যাটিটিউড, পারসেপশন সো ব্যাড। বাঙ্গাল বলেছে, কাঙ্গাল বলেছে, কত কী বলে বেড়াচ্ছে। আর আমি তো শুনেছি কখনও কখনও বলে বেড়াচ্ছে দিল্লির কিছু নেতা, বাঙালিদের মেরুদণ্ড কী করে ভেঙে দিতে হয় আমি জানি। আমি বলি, আসুন না, একটু চেষ্টা করে দেখুন না। অনেকবার তো চেষ্টা করেছেন’।
তৃণমূলনেত্রী মমতা প্রতিজ্ঞা করেন, ‘ভাষা দিবসে আমি আপনাদের সামনে প্রতিজ্ঞা করছি। যতদিন আমার দেহে প্রাণ থাকবে, কোনও ধমকানি – চমকানিকে ভয় পাই না, এবং পাবোও না। আমাদের মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া অত সহজ নয়। আমাদের চোখ উপড়ে দেওয়াও অত সহজ নয়। আমাদের জাতিটাকে বিস্মৃত করিয়ে দেওয়াটাও অত সহজ নয়’।
তার দাবি, ‘আমাকে এই বাংলা শিখিয়েছে বীরের মতো লড়বি। বাঘের বাচ্চার মতো লড়বি। বাঘের বাচ্চা যেন বিড়ালকে দেখে ভয় না পায়’।