‘বাংলাদেশ-ভারতের যে সম্পর্ক, এভাবে কোনো সম্পর্ক হয় না; যা হয় তা দাদাগিরি’

0

বাংলাদেশ-ভারতের যে সম্পর্ক, এভাবে কোনো সম্পর্ক হয় না। যা হয় তা দাদাগিরি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস-এ পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের সংগঠন ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির।

হাসান নাসির বলেন, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক আদান-প্রদান মূল কথা হলেও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে সেটা দেখা যায় না। এক্ষেত্রে একতরফা ভালোবাসা বিরাজমান। যেখানে ভারত শুধু নিতে চায়, দিতে চায় না।

হাসান নাসির আরও বলেন, ভারত এদেশের পুতুল সরকারের সাথে বন্ধুত্বের মাধ্যমে সেই অমানবিক সম্পর্ক মেনে নিতে বাংলাদেশের মানুষকে বাধ্য করার চেষ্টা করছে। বিনিময়ে রাতের ভোটের অবৈধ সরকারকে ক্রমান্বয়ে অধিকতর শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের যে সম্পর্ক, এভাবে কোনো সম্পর্ক হয় না। যা হয় তা ‘দাদাগিরি’। কল্যাণ পার্টি ভারতের এই দাদাগিরি অবসান চায়।

তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের ব্যাপারে ‘দাদাগিরি’ করে না দোরাইস্বামীর এই কথা গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে, বর্তমান সরকারের আমলে ভারত বাংলাদেশের প্রতি প্রভু সুলভ আচরণ করেই যাচ্ছে। এই সরকারের আমলে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভারসাম্যহীনতার দোষে দুষ্ট।

জেনারেল (অব.) হাসান নাসির বলেন, আগামী ৫০ বছর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সুসংহত করতে বেশ কিছু চুক্তি করতে চায় ভারত। সরকারের বৈধতা নিয়েই যেখানে প্রশ্ন সেখানে সরকার ভারতের সঙ্গে আর কোনো বিতর্কিত চুক্তি করুক তা কল্যাণ পার্টি চায় না। এদেশের জনগণও চায় না। এ ধরনের চুক্তি থেকে বিরত থাকতে হবে।

এসময় সীমান্ত হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য হাস্যকর। বিগত এক দশকে ভারত বহুবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সীমান্তের হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হবে। অথচ সীমান্তে আজও বাংলাদেশি হত্যা অব্যাহত আছে।

তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কল্যাণ পার্টির এই নেতা বলেন, ভারত কখনোই আন্তরিক ছিল না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটা অজুহাত মাত্র। কেন্দ্র এবং প্রদেশের মধ্যে সম্পর্কটি নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।

সংবাদ সম্মেলনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মাদ ইবরাহিম, ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী বুলবুল, এলডিপির সভাপতি কারী আবু তাহের ও কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্নেল (অব.) কামাল হোসেন, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নুরুল কবির ভুঁইয়া পিন্টু, চেয়ারম্যানের সামরিক উপদেষ্টা কর্নেল কামাল আহমেদ (অব.), চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) আব্দুল হক, ড. বদরুল আলম সিদ্দিকী, ভাইস-চেয়ারম্যান মাহমুদ খান, কমোডর আরিফ মাহমুদ, গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ মিনহাজ উদ্দিন(অব), লে. কমান্ডার সোহেল রফিক (অব.), যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, যুগ্ম মহাসচিব (দফতর) আল আমিন ভুইয়া রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com