মগের মুল্লুকে ভূ-রাজনীতির খেলা
১.
ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। সদ্য নির্বাচনে জয়ী দল এনএলডির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়৷ আলোচিত নেত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়।
অং সান সুচির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছে সামরিক প্রশাসন। তাকে ১৪ দিনের রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগে তার দুই বছরের জেল হতে পারে।
এই অভ্যুত্থানের পিছনে সামরিক বাহিনীর অভিমত হলো, সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এখানে বলে রাখি, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর প্রতিষ্ঠান তাদমাদা মূলত দেশ চালাতো।
মিয়ানমারের এই অভ্যুত্থানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমের অনেক দেশ কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে৷ জাতিসঙ্ঘও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সু চির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানিয়েছে।
অন্য সব দেশ যখন কড়া সুরে কথা বলছে, তখন চীন এই ঘটনাকে বলেছে মন্ত্রি পরিষদের বড় ধরণের রদবদল। অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘে উত্থাপিত নিন্দা প্রস্তাবেও চীন ভেটো দিয়েছে।
বিগত এক দশকে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক রূপে মূলত সামরিক শাসনই চলেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক শাসকের ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলের প্রায় সকল দেশেই স্বৈরাচারী শাসন নিশ্চিত হল।
মনে করিয়ে দেই, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামেও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি খুব একটা নেই। এর সাথে চীনের শাসন ব্যবস্থাকেও স্মরণে নেয়া যেতে পারে।
২.
মিয়ানমার ও সামরিক বাহিনী প্রায় সমার্থক দুটি শব্দ। দেশটিতে গণতান্ত্রিক চর্চা শুরু হলে বিশ্ব নেতারা আশাবাদী হয়েছিল। কিন্তু সেই আশার ফুল ঝরে পড়েছে। কার্যত দেখা যাচ্ছে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে৷
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও অন্য দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া দেশটি থেকে সামরিক শাসনের বিদায় নিশ্চিত করবে কি? এই প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তরে আশাপ্রদ কোনো কিছুই দেখতে পাওয়া যায় না।
বাইডেন প্রশাসন গণতন্ত্রের সংস্কৃতিকে নতুন রূপে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর। মানবাধিকার রক্ষায় নতুন মার্কিন প্রশাসনের উচ্চকিত আওয়াজও আমরা শুনতে পাচ্ছি।
মিয়ানমারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, অবরোধও আরোপ করতে পারে। নিষেধাজ্ঞার ফলে সেনা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া সামরিক কর্মকর্তা, তাদের পরিবারের সদস্য ও সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে মিয়ানমারের এক বিলিয়ন ডলারের সরকারি তহবিল রয়েছে৷ এই তহবিল সেনাবাহিনী যাতে ব্যবহার না করতে পারে সে জন্যও পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থাও হচ্ছে।
এমন পদক্ষেপ দিয়ে সামরিক শাসকদের বশে আনা যাবে বলে মনে হয় না। দেখা যায় এমন অবরোধ আরোপে শাসক গোষ্ঠীর চেয়ে সাধারণ জনগণই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেকারত্ব বেড়ে যায়, নিদারুণ দুর্দশায় মানু্ষ দিনাতিপাত করে।
ভেনিজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্র অবরোধ আরোপ করেছিল। এর ফলে সেখানে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অনেক শিশুর মৃত্যুবরণ করেছিল। নিউইয়র্ক টাইমস এ নিকোলাস ক্রিস্টফ ‘Venezuela’s Kids are dying. Are we responsibl’ শিরোনামে কলাম প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সুপরিকল্পিত অবরোধ সাধারণ মানুষর উপর ব্যথা হয়ে আপতিত হতে পারে।’
৩.
মিয়ানমারে মার্কিন অবরোধ আরোপ হয়ত সামরিক শাসকদের নতি স্বীকার করতে বাধ্য করত, কিন্তু অন্য দেশগুলো এক পথে চলতে চায় না। সম্মিলিত চাপ এড়িয়ে চলা সম্ভব হয় না, কিন্তু গুটি কয়েক দেশের চাপে কোনো শাসকই মাথা নত করবে না।
মিয়ানমারের উপর যতই চাপ আসুক, চীন সর্বদা ঢাল হয়ে রক্ষা করবে। ভারত, জাপান, রাশিয়াও চীনের পথেই হাঁটতে বাধ্য হবে। কেননা মিয়ানমারে প্রতিটি দেশেরই স্বার্থ রয়েছে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নীতির বুলি গৌণ বিষয়, স্বার্থই এখানে সবার আগে। এ প্রসঙ্গে ব্রক্ষচেলানির একটি কলামের কথা নজরে এনে দেই। ভদ্র মহাশয় ভারতের নয়াদিল্লিভিত্তিক সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের স্ট্র্যাটেজিক অধ্যাপক। ‘Don’t Isolate Mayanmar’ শিরোনামে তিনি একটি কলাম লিখেছেন।
কলামটি প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, জাপান টাইমস, হিন্দুস্তান টাইমসসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। কলামটির মূল ভাষ্য হলো নিষেধাজ্ঞা বা অবরোধ আরোপে মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের কাবু করা যাবে। কঠোর কিছু করা হলে মিয়ানমার আরো বেশি করে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়বে। তিনি ইরানের উদাহরণ দিয়েছেন।
তার মতে, সামরিক শাসকদের সাথে যোগাযোগ ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। তিনি পশ্চিমা বিশ্বের এই কূটনীতিকে কিছুটা কটাক্ষও করেছেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন এই কাজে যুক্তরাষ্ট্র ভারত ও জাপানকে কাজে লাগাতে পারে। কারণ এই দুই দেশেরই মিয়ানমারের সেনা বাহিনীর সাথে কৌশলগত সম্পর্ক আছে।
ভারতের পক্ষ থেকে এমন প্রচারণা আসাটা খুবই স্বাভাবিক। চীনকে দুর্বল করতে পারলে ভারতেরই লাভ। আর যুক্তরাষ্ট্রও চীনকে চাপে রাখতে চায়। ট্রাম্প আমলে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে QUAD গঠিত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল চীন বিরোধী শক্তিশালী জোট গঠন করা।
মিয়ানমারকে ঘিরে ভারতের স্বার্থ একটু বেশিই বলতে হয়। ভারতের কালাদান প্রজেক্ট ও লুক ইস্ট পলিসির সফলতার পুরোটাই মিয়ানমার -এর উপর নির্ভর করছে।
মিয়ানমারের সিটওয়ে বন্দরকে ঘিরে কালাদান প্রজেক্টের কাজ চলছে। এখানে ভারত মহাসড়ক উন্নয়নেও বিনিয়োগ করেছে। এসবের উদ্দেশ্য কলকাতা বন্দরের সাথে সাত বোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত মিজোরাম রাজ্যের রাজধানী আইজলের সংযুক্তি। কলকাতা থেকে মিয়ানমারের সমুদ্রবন্দর সিটওয়ে দিয়ে চীন স্টেটের পালেটাওয়া নদীবন্দর হয়ে আইজলের সাথে সংযোগ স্থাপন।
লুক ইস্ট পলিসি বাস্তবায়নে ভারতের বড় প্রকল্প হলো Eastwest Economic corridor। ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিদেশীয় মহাসড়ক বাস্তবায়নে ২০১৬ সালে মিয়ানামারের সাথে চুক্তি সই করেছে। এই সড়ক ব্যবস্থায় বাংলাদেশকে যুক্ত হতে আহবান জানিয়েছে ভারত।
এ মহাসড়কটি শুরু হবে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী Moreh-Tamu হয়ে মিয়ানমারের মান্দালয় ও নাইপেডো এবং বাগো শহর হয়ে শেষ হবে থাইল্যান্ডের Myawaddy-Mae Sot শহরে।
এই করিডোর বাস্তবায়িত হলে ভারত আসিয়ান অঞ্চলে বাণিজ্য বিস্তার করতে পারবে। বর্তমানে এই অঞ্চলে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করে। করিডোরের কাজ শেষ হলে আরো ৭০ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে। ২০২৫ সালে ভারত এই বাণিজ্য ৩০০ ডলারে উন্নীত করতে চায়।
মূল্যবান পাথর ‘জেম’-এর জন্য মিয়ানমারের বিশ্বজোড়া খ্যাতি আছে। জেমের বিশাল মজুদ রয়েছে রাখাইনে। রোহিঙ্গাদের উৎখাত করা অঞ্চল থেকে মাটি খুঁড়ে এইসব জেম উত্তোলন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাপানিরা এখানে বিনিয়োগ করেছে।
৪.
ব্রক্ষ চেলানির মতামতকে একেবারে উড়িয়েও দেয়া যায় না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রও এই অঞ্চলে চীনের উত্থানে শঙ্কিত। ৬ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ফোনালাপের পর লিখেছেন, ‘আমি পরিষ্কার ভাষায় বলেছি আমেরিকা তার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করবে, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা বলবে, আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বিনষ্টের চীনকে দায়ী করবে’।
চীন নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অভিন্ন। সেক্ষেত্রে মিয়ানমারে চীনকে বেকায়দায় ফেলতে আখেরে দুই দেশেরই লাভ। ভারতের দূতিয়ালিতে মিয়ানমার ২০১১ সালে চীনের Myitsone Dam নামের মেগাপ্রজেক্ট বাতিল করে দিয়েছিল।
চীনকে সামলাতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের সাথের সম্পর্ক স্থাপন করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এমন নজির যে নেই তা নয়। ব্লিংকেন যতই গণতন্ত্রের মূল্যবোধের পক্ষে সাফাই করুক, স্বার্থের কাছে সব গৌণ।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার মুরসিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল সামরিক শাসক। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সিসির সুসম্পর্ক আছে। আবার বাইডেন তুরস্কের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে হটাতে সামরিক অভ্যুত্থানে সমর্থন দিয়েছিলেন।
কমিউনিস্ট নিয়ন্ত্রিত দেশ ভিয়েতনামের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের দহরম-মহরম রয়েছে। উদ্দেশ্য দক্ষিণ চীন সাগরে চীনকে দমিয়ে রাখা। থাইল্যান্ডের সাথেও যুক্তরাষ্ট্র ভাব রেখেছে। থাইল্যান্ডে গণতান্ত্রিক মতকে কঠোরভাবে দমন করা হয়। কিছুদিন পূর্বে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলে সেনাবাহিনী সেখানে খড়গহস্ত হয়েছিল।
৫ ফেব্রুয়ারি ব্লিংকেন ভিয়েতনামের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ করেছেন। আলাপের পর টুইটে লিখেছেন, ‘ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। মুক্ত ও অবাধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত হয়েছে’। বলে রাখি, ভিয়েতনামে কমিউনিস্ট শাসিত সরকার ক্ষমতায় আছে।
৫.
ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল স্বার্থ রয়েছে। ট্রাম্প আমলে প্রণীত ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল হারিয়ে যাবে না এটা বুঝতে পারা যাচ্ছে। বারাক ওবামার pivot to asia বা Rebalancing Asia নীতিরই অন্য রূপ হলো ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল। ইন্দো প্যাসিফিক নামেই হোক বা অন্য কোন নামেই হোক প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্টায় পিছপা হবে না এটা নিশ্চিত।
প্রশান্ত মহাসাগরে মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ, ওকিনাওয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব কমাতে ইদানীং ঘন ঘন লুজান ও ফরমোজা প্রণালীতে মহড়া চলার খবর পাওয়া যায়। তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেও চীনকে চাপে রাখার নীতিও চোখে পড়ে৷
ভারত মহাসাগরের দিয়াগো গার্সিয়া, পারস্য উপসাগরীয় প্রতিটি দেশ, জিবুতি সহ অন্য কিছু স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঘাটি রয়েছে কাতারে।
আলফ্রেড টি মাহান ভারত মহাসাগর নিয়ে বলেছেন, ‘যে ভারত মহাসাগর নিয়ন্ত্রণ করবে, সে এশিয়াকে শাসন করবে। এই মহাসাগর সাতটি সাগরে প্রবেশের চাবিকাঠি। বিশ্বের ভাগ্য এই জলসীমার উপর নির্ভর করবে’। যুক্তরাষ্ট্র এই চাবিকাঠি নিজের দখলে পেতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। ভারত মহাসাগর ঘিরে চীনের তৎপরতাকে রুখে দিতে যুক্তরাষ্ট্র তৎপর থাকবে এটা স্পষ্ট।
এখানে বলে দেই, চীন ভারত মহাসাগরের কেনিয়া, জিবুতি, শ্রীলংকা, মিয়ানমারে বন্দর নির্মাণ করেছে। মালদ্বীপেও দ্বীপ লিজ নিয়েছে। জিবুতিতে সামরিক ঘাঁটি করেছে। হাম্বানটোটা ও গোয়াদর বন্দরে চীনের কর্তৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রকে ভাবিয়ে তুলছে।
পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা বুঝতে নজর রাখতে হবে। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মিয়ানমারে বিভোক্ষ অব্যাহত আছে। জান্তা সরকার বিভোক্ষকারীদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে। বিভোক্ষকারীদের ২০ বছরের কারাদণ্ডের হুমকি দেয়া হয়েছে।
২০০৭ সালে সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে জাফরান বিপ্লব হয়েছিল। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এই আন্দোলন করেছিল। অহিংস এই আন্দোলন বিশ্ব জুড়ে প্রশংসিত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই আন্দোলনে সহায়তা করেছিল এমন খবর শুনতে পাওয়া যায়। মিয়ানমারের বর্তমান বিভোক্ষ থেকেও নতুন কোনো বিপ্লবের জন্ম নিবে কি?
এখন দেখার বিষয় যুক্তরাষ্ট্র জনগণের পক্ষে দূতিয়ালী করে স্বার্থ আদায় করে না সামরিক শাসককে বন্ধু বানিয়ে নতুন পথের সূচনা করে…