গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাশেদা বেগম নামের এক গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গৃহবধূর দেবরের শশুর বাড়ির লোকজন এ কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরিবার। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় মামলার পর প্রধান আসামি স্থানীয় মোস্তফার ছেলে মাইন উদ্দিনকে আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আগুনে ওই গৃহবধূর শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিম রাশেদা একই গ্রামের জাহের হোসেন এর স্ত্রী। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, দীর্ঘদিন থেকে একটি স্বর্ণের চেইনকে কেন্দ্র করে রাশেদার সঙ্গে তার দেবর ও দেবরের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার বিকালে রাশেদার শ্বশুর বাড়িতে তার দেবরের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা রাশেদার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ স্বজনদের। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর অবস্থার অবনতিতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এঘটনায় দেবরের শ্বশুর বাড়ির লোক মাইন উদ্দিন, শাহজাহান, লিটন ও আশরাফকে আসামি করে মামলা করেন ভিকটিম গৃহবধূর ভাই। পরে পুলিশ মাইন উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, গৃহবধূর শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা নেয়া হয়েছে, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজছে পুলিশ।