জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের ‘সরকারি অপচেষ্টার’ প্রস্তাবের প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচি
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আবারও দেশের সব মহানগর ও জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে এ কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে বরিশাল বিভাগকে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ড. মোশাররফ।
ড. মোশাররফ বলেন, শনিবার স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরের প্রথমেই দেশ, দেশের সরকার প্রধান এবং দেশের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক এক স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরায় প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগগুলো বিশ্বাসযোগ্য ও যুক্তিগ্রাহ্য জবাব না দিয়ে বিষয়টিকে রাজনৈতিক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে এড়িয়ে যাওয়ায় সরকারের নিন্দা জানানো হয়।
তিনি বলেন, সভায় দেশের ভাবমূর্তি এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের খেতাব কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টার মতো ধৃষ্টতা প্রদর্শন ও বিরোধীমত দমনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্ন পর্যন্ত মুছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারি স্বৈরাচারী অপচেষ্টার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধাদান, মানববন্ধন কর্মসূচিতে আক্রমণ চালিয়ে কেন্দ্রীয়, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃত্বসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আহত করা, সিনিয়র বিএনপি নেতাসহ শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে অনেককেই কারাগারে পাঠানো এবং অজ্ঞাত আসামি বলে সারাদেশে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের হয়রানি করায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষায় চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করা হয়। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার এবং গ্রেফতারদের মুক্তির জোর দাবি জানানো হয়।