জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীকে সংগঠিত করেছেন: খসরু

0
আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আল জাজিরা ক্ষুদ্র একটি অংশ প্রকাশ করেছে। এতেই ভয়ে কম্পন শুরু হয়েছে সরকারের। আরও আসছে, আল জাজিরার পরবর্তী প্রতিবেদনে বহু লোকের নাম জড়িত আছে। তাতে সরকারের দেশে ও দেশের বাইরে পাতিলের খবরও বের হয়ে যাবে। প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটিও সদুত্তর পেলাম না। তারা শুধু প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মধ্যে কম্পন শুরু হয়েছে। এসব সরকারের বিদায়ের লক্ষণ। সমস্ত অপকর্মের দায়ভার নিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
গতকাল শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

 

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রোজার পর, ঈদের পর এরকম দিনক্ষণ দেখে আন্দোলন হয় না। যে কর্মসূচির মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে, সেই কর্মসূচি আসবে। এখন প্রতিদিনই আন্দোলন। আমরাতো নেমেই গেছি মাঠে, আর ফিরে যাবো না। এটাই-তো কর্মসূচি। সরকার বলছে, আড়িপাতার যন্ত্র আনার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, তাদের সঙ্গে আমাদের এ রকম কোনও চুক্তি নাই। জাতিসংঘ বিবৃতি দিয়ে সরকারের মুখে লাথি মেরে দিয়েছে। লজ্জা নাই তাদের। জাতিসংঘ বলছে, তোমরা মিথ্যাচার করছো।’

তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বীর উত্তম খেতাব পেয়ে গৌরবান্বিত হননি, বরং বীর উত্তম পদটি গৌরবান্বিত হয়েছে। বিএনপিতে অনেক খেতাবপ্রাপ্ত লোক আছেন কিন্তু আওয়ামী লীগে খেতাবপ্রাপ্ত লোক খুঁজে বের করতে হবে। জিয়াউর রহমান নাকি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, তাহলে তো এখন বাংলাদেশের অনেক বড় নেতা থেকে শুরু করে মাঠের কর্মী পর্যন্ত কেউ রেহাই পাবে না। তারা সংবিধানের বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে। এসবেরও বিচার হবে।’
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, খুন, গুম, হত্যার নায়ক কারা? এগুলোর সঙ্গে জড়িত সরকার। প্রশাসনকে বলবো, আপনারা কোনও দলের পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন না, জনগণের পক্ষে দায়িত্ব পালন করুন। আপনারা যতই লাঠিপেটা করেন, গুম-খুন করেন, হত্যা করেন, দেশের মানুষ কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। দুর্নীতি এখন চরম শিখরে পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগের কিছু মানুষ রাষ্ট্রের সব সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখেছে। সমস্ত জাতি আজ শঙ্কিত। আমরা চট্টগ্রাম থেকে অতীতেও আন্দোলনের সূচনা করেছি। চট্টগ্রাম থেকেই আন্দোলন গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার নয়, আমি তাদের সরকার বলি না। কারণ সরকার গঠন করে রাজনৈতিক দল। কিন্তু এরা কারা ? কিছু দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, কিছু দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের লোক, এরাই এখন সরকারে। এরা একটা মাফিয়া রেজিম। কিন্তু চোরের দশদিন, গৃহস্থের একদিন।’
মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করে পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ.এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইভিএম একটি ডিজিটাল মেশিন। যেখানে আপনারা ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন সেটা চলে গেছে নৌকায়। আওয়ামী লীগও এমন একটা যন্ত্র যেখানে গেলে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা হয়, মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হয়। এসময় তিনি সাবেক মন্ত্রী শাহাজান খান কোন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। তার দাবি,শহীদ জিয়াই চট্টগ্রাম থেকে ‘উই রিভোল্ট’ বলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন।
তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com