গণতন্ত্রকামী মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দমন-পীড়নই যেনো আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যেহেতু জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি ফলে জনগণের যে কোনো আন্দোলনকে তারা ভয় পায়, তাই আজকে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বিনা উস্কানিতে আওয়ামী পুলিশ ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে,। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে, ভোট-ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দূর্নীতি-লুটপাট, মূল্যবৃদ্ধি, ধর্ষণ-খুন-নির্যাতনসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা এই বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার করছে না,।

রাতের ভোটে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে একের পর এক কলঙ্কজনক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে,। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অহংকার, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধকালীন জেড ফোর্সের কমান্ডার রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এর খেতাব প্রত্যাহারের এক ঘৃণ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে,। জনগণ আজ স্পষ্ট ভাষায় বলতে চায়, মুক্তিযুদ্বের চেতনার নামে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার যে হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি শুরু করেছে তা দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের দেশপ্রেমের চেতনায় উড়ে যাবে,। এবং শহীদ জিয়া বীরউত্তম থেকে বীরশ্রেষ্ঠ হয়ে জনগণের হৃদয়ে ঠিকই থেকে যাবে,। এবং এদেশের জনগণ এই আওয়ামী স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক লড়াই-প্রতিরোধকে আরো বেগবান করে তুলবে,।

আজকের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আবারো ক্ষমতাসীনদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, এভাবে জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনো সরকারই অতীতে টিকে থাকতে পারেনি,। গায়ের জোরে নিশিরাতের ভোটে নির্বাচিত অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ও পারবে না,। জনগণকে সাথে নিয়ে শীগ্রই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপি গণআন্দোলনের মাধ্যমেই আজকের এই প্রতিহিংসাপরায়ণ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবে ইনশাআল্লাহ,।

-ডালিয়া লাকুরিয়া