সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ালে কর্মসূচি দেবে বিএনপি
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ালে বিএনপি কর্মসূচি দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে দ্রব্যমূল্য বাড়ার পেছনে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে সব জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির ফলে শুধু বিএনপিই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না দেশের সব মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাই জনগণকেই এগিয়ে এসে এর প্রতিবাদ করতে হবে।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্য ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি এর আগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত ১৩ বছরে জিনিসপত্রের দাম গড় হিসাবে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এ সময়ে অনেক জিনিসের দাম বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। সরকারের প্রতিশ্রুত ১০ টাকার চাল ৭০ টাকা। পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরকারদলীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ভোক্তাদের পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব জিনিসপত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। কে কী খাবে না খাবে তা নির্ধারণ করে দেয়া নয়।’
মির্জা ফকরুল বলেন, দ্রব্যমূল্যসহ জীবনযাত্রার সার্বিক ব্যয় সহনীয় মাত্রায় রাখতে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার দরকার। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রক্ষায় অবিলম্বে তথাকথিত নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। অন্যথায় দ্রব্যমূল্যভিত্তিক মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাই নয়, জাতির গোটা ভবিষ্যৎ জীবন আরও অসহনীয় ও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।