রিপোর্ট তো কোটি কোটি মানুষ দেখেছে, কাদেরকে রিজভী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আলজাজিরার রিপোর্ট ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নিচ্ছেন? এটা তো কোটি কোটি মানুষ দেখে ফেলেছে। জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নিয়ে আপনি ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারবেন না ওবায়দুল কাদের সাহেব।
তিনি বলেন, ‘যে লোক (জিয়াউর রহমান) রাজনীতিকে গ্রামে নিয়ে গেছেন, যে মানুষটি মিশে ছিলেন কাদা মাটি ও পলিমাটির মধ্যে। নদীর উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে যার নাম মিশে আছে, মিশে আছে জনগণের মনে। সেই নাম কোনদিনও মুছে ফেলা যাবেনা ‘
শনিবার (১৩ ফেব্রয়ারি) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রত্যাহারের সরকারী হঠকারী ও অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশটির আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন কবিয়াল আছে। আপনারা কি চেনেন? তার বাড়ি হচ্ছে নোয়াখালী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তার নাম হচ্ছে ওবায়দুল কাদের। তিনি কবিতার আকারে কথা বলেন, তিনি গতকাল বলেছেন আলজাজিরার পেছনে কারা কারা আছে আমরা সেটা খুঁজে পেয়েছি। আমি আগেই বলেছি, আওয়ামলীগের ক্যারেক্টার টাই হচ্ছে সন্ত্রাসীদের মতো, মাফিয়াদের মত। ঠাকুরগাঁওয়ে কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা বেগম বলেছেন, আগামীকাল নির্বাচন যাদের ধানের শীষের সাথে প্রেম আছে তারা ঠাকুরগাঁও ছেড়ে দেন। লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক দার্শনিক প্লেটো তিনি বলেছিলেন, ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাই অপরাধের অন্যতম কারণ। এই আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন; এদের প্রত্যেকেরই ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা। আপনারা সবাই দেখছেন না এখন জিপিএ ফাইভ এর ছড়াছড়ি, আর ১৯৭২ সারে ছিল নকলের ছড়াছড়ি এইবার হলো অটো পাশের ছড়াছড়ি। এই কারণেই সমাজ এবং রাষ্ট্রে অপরাধ বাড়ছে। আর আওয়ামী লীগে ভিতরে সবচেয়ে বেশি অপরাধ ‘
তিনি বলেন, ‘যখন দেশ বিধ্বস্ত সেই সময়ে কোন বীর বলেছিলেন, ওই রিভল্ট সেটা তো বলেছিলেন জিয়াউর রহমান। তার খেতাব কেড়ে নিতে পারে? তার খেতাব কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। তার খেতাব নাকি কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমানের বীরত্ব মহাকাব্যের মতো। জিয়াউর রহমানের বীরত্ব নিয়ে আগামী দিনে গান রচনা হবে, কবিতা রচনা হবে। শতাব্দীর পর শতাব্দী এদেশের জনগণের কন্ঠে কন্ঠে জিয়াউর রহমানের বীরত্বের গান, কবিতা ও গল্প আবৃত হবে। যেমন আমরা তিতুমীর কে নিয়ে গান রচণা করি, যেমন আমরা ক্ষুদিরাম কে নিয়ে গান রচনা করি, যেমন আমরা ফকির মজনু শাহ কে নিয়ে গান রচনা করি, ঠিক তেমনি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ও গান রচনা হবে।’
ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রতিবাদ সমাবশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, যুবদল মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।