ইভিএম একটা ধাপ্পাবাজির মেশিন: রিজভী
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
গতকাল শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সমালোচনায় সরব হন।
রিজভী বলেন, ‘ইভিএমের বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা যা বলেছিলেন তা হলো-এই মেশিনে দূর থেকে হ্যাক করা যায়। ভোটের ফলাফল ম্যানিপুলেট করা যায়। এ কথার সত্যতা এখন আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেরাই অকপটে স্বীকৃতি দিচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী ওরফে নয়ন তিন নম্বর ওয়ার্ডের চর সেকেন্দার সফি একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় বলেছেন-নৌকার বাইরে ভোট দিলে ইভিএমে ধরি ফেলা যায়।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘ইভিএম একটা ধাপ্পাবাজির মেশিন বিএনপিসহ নানা মত ও পথের এবং বিশ্বের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের এই অভিমত এখন আওয়ামী লীগ নিজেরাই জানান দিচ্ছে। ২০১৮ সালে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন-রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার সেই কথা রাখেননি। তিনি কথা রেখেছেন শেখ হাসিনার। ইভিএমে ভোট ম্যানিপুলেট করা হয়েছে দেদারসে। দিনের ভোট রাতে করেছেন।’
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কতিপয় কমিশনাররা একের পর এক জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে যে কুকীর্তি করে আসছে তা জনমানুষের নিকট অজানা নয়। কমিশনের অসদাচরণের পেছনে রয়েছে চাকরি রক্ষা ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক হওয়া। দুর্নীতি ও চাকরি রক্ষা করতে গিয়ে সরকারের ইচ্ছা পূরণে এরা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ’
তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের ভোট সন্ত্রাস, হামলা, প্রচার মাইক ভাঙচুর, বিএনপি নেতাকর্মীদের জখম ও রক্তাক্ত করা, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া, যেখানে ভোট হচ্ছে সেই এলাকার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হয়রানি এবং পাইকারি গ্রেফতারের বিষয়ে অভিযোগ করলে নির্বাচনী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তা আমলেই নেয় না। বরং উপহাস করে, তামাশা করে।’