‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই সুবর্ণজয়ন্তীর চ্যালেঞ্জ’
দেশে গণতন্ত্র নেই, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা যখন বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি তখন কতগুলো প্রশ্ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসবে। দেশে গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, বিচারহীনতাসহ যত ধরনের অন্যায় অপরাধ চলছে এগুলো থেকে আমরা কিভাবে পরিত্রাণ পাবো।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে গঠিত ৩১টি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবদের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, আমাদের সবার সামনে একটা চ্যালেঞ্জ হলো- দেশে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে আইনের শাসন নেই, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে বিচারহীনতা চলছে সেখানে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই লক্ষ্যে সুবর্ণজয়ন্তী পালনের মাধ্যমে আমরা দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবো, প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবো, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের প্রত্যাশা পুরণের প্রচেষ্টা চালাবো।
তিনি বলেন, বিএনপি হলো মুক্তিযোদ্ধাদের দল। যেহেতু আমরা বিএনপি মুক্তিযোদ্ধাদের দল হিসেবে দাবি করি তাই এই স্বাধীনতার ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাদের কি অবদান তা বস্তুনিষ্ঠভাবে সঠিক ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের জন্য তুলে ধরা দায়িত্ব ও কর্তব্য। সেই দায়িত্ব বা কর্তব্যবোধ থেকে বেশ আগে থেকেই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু করেছি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালামের পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ১০টি বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি ও বিষয় ভিত্তিক ১৮টি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।