রিজভী-সোহেল-নিপুন-টুকুসহ বিএনপির ১২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিলের ঘটনায় দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বিএনপির অজ্ঞাত আরও ১০০/১২০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
রাজধানীর শাহবাগ থানায় বুধবার রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাপ উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও রয়েছেন, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরাফর আলী সপু, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার খাঁজা হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফকরুল ইসলাম রবিন, দক্ষিণের এস এম জিলানীসহ অনেকে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ফার্স হোটেলের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলটি বিজয়নগরের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।
এসময় পুলিশের হামলা ও লাঠিপেটায় যুবদল নেতা গোলাম মওলা শাহীন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসার, সোহেলসহ ৫-৬ জন নেতাকর্মী আহত হন। পুলিশ মিছিল থেকে যুবদল নেতা শরীফসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এদিকে মামলা দায়ের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পুলিশ আমাদের ওপরই হামলা করে। আবার মামলা দিচ্ছে। তবে আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। মামলা-নির্যাতন করে এ আন্দোলন দমানো যাবে না।’