শহীদ জিয়ার ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রত্যাহার হটকারী সিদ্ধান্ত: লেবার পার্টি
সরকার আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জনগনের দৃষ্টি আড়াল করতেই স্বাধীনতার মহান ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব প্রত্যাহার করার হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার ১২ বছরের সিমাহীন দুর্নীতি দুঃশাসন ও নগ্ন দলীয়করনের বাস্তব চিত্র আল জাজিরার প্রতিবেদনে ফুটে উঠেছে। দেশে বিদেশে সরকারের অনৈতিক ও মাফিয়া কর্মকান্ডের আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। এতে সরকার দিশেহারা হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এবং আল জাজিরা ইস্যুকে ধামাচাপা দিতেই শহীদ জিয়ার বীর উত্তম খেতাব প্রত্যাহারের হটকারী সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে। এতে প্রমান হয় আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও আসলে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ লেবার পার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ মহব্বত স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
শহীদ জিয়ার খেতার হরণ করা অসুস্থ্য মানুষিকতা ও অপরাজনীতি মন্তব্য করে নেতৃদ্বয় বলেন, জিয়াউর রহমান খেতাবের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেননি। খেতাব প্রত্যাহার করে জনগনের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়াকে মুছে ফেলা যাবে না বরং যারাই ইতিহাসের মহানায়ক শহীদ জিয়াকে অবমাননা করবে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। কেননা শহীদ জিয়াউর রহমানকে কেউ করুণা করে বীরউত্তম খেতাব দেয়নি। মুক্তিযুদ্ধে দুঃসাহসী অবদানের কারনেই তিনি এই সম্মানে ভুষিত হয়েছেন। এই পদক শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবর রহমান প্রদান করেছেন। শেখ হাসিনার আত্মঘাতি, হটকারী, অনৈতিকতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধে চেতরার পরিপন্থী সিদ্ধান্ত জনগনকে হতবাক করেছে। তিনি প্রমান করেছেন শেখ মুজিবের আর্দশ শেখ হাসিনা লালন করেন না। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে শহীদ জিয়ার বীরউত্তম খেতাব নিয়ে টানাটানি না করে জনগনের ভোটাধিকার ও গনতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে প্রশ্নবিদ্ধ জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন নির্বাচন দেয়ার আহবান জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তী