আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে: রিজভী

0

রাষ্ট্রকর্তৃক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

গতকাল বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের পক্ষ থেকে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এ সময় তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। খুব দ্রুতই এই সরকারের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর উত্তম খেতাব দেয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তার রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের কূটিল প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রযন্ত্রের নিষ্ঠুর থাবায় জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতে না পেরে দেশমাতৃকার এই মহান বীরের অবদানকে মুছে ফেলার জন্য ব্যর্থ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের এমনিতেই তালিকা থেকে বাদ দিয়ে এবং নানা ধরনের অপকর্মের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিতর্কিত হয়েছেন, এ জন্যই জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়া, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের নামে বিষোদগার করলেই প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী নেতাদের কবিরা গুনাহ মাফ করে দেন। তারা সহজাত বিচার-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে। তাদের মনে-মস্তিষ্কে অন্ধকার নেমেছে। তারা এক ধরনের প্রতিবন্ধী। তারা কুৎসা সঞ্চারিত মনের বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি।

রিজভী বলেন, যে মহান ব্যক্তি দেশের জন্য অকুতোভয়ে লড়াই করেছেন সেই জিয়াউর রহমানের মতো বীরের খেতাব মাফিয়া রাষ্ট্রশক্তির জোরে কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করা হলেও জনমনে যে ইতিহাস রচিত হয়ে আছে সেই ইতিহাস অমর, অব্যয়, অক্ষয়, তা রাষ্ট্রযন্ত্রের হুমকিতে কখনো মুছে ফেলা যাবে না। জিয়াউর রহমানের কীর্তি দেশবাসীর অন্তরে আজও অম্লান। জিয়াকে নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আবেগ তা যুগে যুগে মানুষের হৃদয়ে বহমান থাকবে।

তিনি বলেন, সূর্যের আলোকে আটকানো যায় না, এর বিশাল ব্যাপ্তি পৃথিবীসহ সৌরলোকে ছড়িয়ে পড়ে। রাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, বীরত্ব শব্দটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজন হয়, চাকরি রক্ষায় নয় কিংবা প্রমোশন বা ইনক্রিমেন্ট আদায়ের জন্য নয়। শহীদ জিয়া ছিলেন সেই বীর যিনি দেশপ্রেমে পরিপূর্ণ একজন ব্যক্তি। তাই ৭১ এ নিজের ও পরিবারের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন জিয়া। তিনি ওই দুর্যোগময় মুহূর্তে কাউকে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর কথা বলেননি।

আমি শহীদ জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্তে তীব্র ঘৃণা, নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এ ধরনের কূটিল সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com