কানাডার জন্য মারাত্মক কৌশলগত হুমকি হয়ে উঠেছে চীন
কানাডার জন্য মারাত্মক কৌশলগত হুমকি হয়ে উঠেছে চীন। এশিয়ার এ পরাশক্তি কানাডার গোপন তথ্য চুরির চেষ্টা করছে এবং সেখানে বসবাসরত চীনা সম্প্রদায়কে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে দাবি করেছেন কানাডীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। খবর রয়টার্সের।
কানাডার নিরাপত্তা গোয়েন্দা সেবার (সিএসআইএস) পরিচালক ডেভিড ভিনল্টকে সাধারণত খুব একটা জনসম্মুখে দেখা যায় না। তবে মঙ্গলবার একটি অনলাইনে ফোরামে অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন, সম্প্রতি কানাডার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে চীন। দেশটির রাষ্ট্রসমর্থিত কর্মীরা কানাডার ব্যবসায়িক গোপন ও স্পর্শকাতর তথ্য চুরির চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভিনল্ট বলেন, চীন সরকার অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত, রাজনৈতিক, সামরিক- সব দিক দিয়েই ভূরাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার কৌশল অবলম্বন করছে এবং রাষ্ট্রীয় শক্তির সকল উপকরণ এমন কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহার করছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য প্রত্যক্ষ হুমকিস্বরূপ।
চীনের রাষ্ট্রসমর্থিত হ্যাকারদের জন্য বায়োফার্মাসিউটিক্যাল ও স্বাস্থ্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, সমুদ্র এবং মহাকাশ প্রযুক্তি খাত সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। চীন অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
চীন বলছে, দেশের সম্পদ চুরি করে যেসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও নির্বাহী বিদেশে পালিয়ে গেছেন, তাদের সন্ধানে ‘অপারেশন ফক্স হান্ট’ চালাচ্ছে বেইজিং। তবে কানাডীয় গোয়েন্দা প্রধানের দাবি, মূলত রাজনৈতিক বিরোধীদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতেই এই অভিযান পরিচালনা করছে চীন।
সিএসআইএস পরিচালকের কথায়, এসব কার্যকলাপ… আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে দুর্বল করার চেষ্টা বা আমাদের নাগরিকদের গোপন ও চোরাগুপ্তভাবে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করে সীমা অতিক্রম করেছে।
কানাডীয় গোয়েন্দা বাহিনীর এমন গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে অবশ্য এখনো কোনো মন্তব্য করেনি অটোয়ার চীনা দূতাবাস।