গণপূর্তের প্রকৌশলীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি যুবলীগ নেতার
চট্টগ্রামে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও এক ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগে পারভেজ (৩২) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরের আগ্রাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার যুবলীগ নেতা এস এম পারভেজ নগরের আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনির আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার পারভেজ ডবলমুরিং থানার ৭ নম্বর তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে আরও ৬টি মামলা আছে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে প্রবেশ করে ঠিকাদারকে মারধর ও একজন প্রকৌশলীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এস এম পারভেজ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে।
সূত্র জানায়, মেসার্স আনাস ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনালের মালিক সৈয়দ খলিলুর রহমান গণপূর্ত বিভাগের একই সার্কেলের আওতায় সন্দ্বীপ উপজেলায় টিটিসি সাব-স্টেশন স্থাপন ও নগরের মধ্যম হালিশহরে নির্মাণাধীন পুলিশ ফাঁড়ির তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ তলার বৈদ্যুতিক কাজেরও নিয়োজিত ঠিকাদার। রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তিনি গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালের কক্ষে যান। এর কিছুক্ষণ পর যুবলীগ নেতা পারভেজ আট-দশজন লোক নিয়ে সেখানে প্রবেশ করেন। এসময় পারভেজ ‘আনাস ট্রেডিংটা কে’ বলে চিৎকার করতে করতে খলিলুর রহমানের কলার ধরে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। ওই কক্ষে থাকা কয়েকজন কোনোমতে পারভেজের হাত থেকে ঠিকাদারকে ছাড়িয়ে নেন।
ঘটনাস্থলে থাকা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী চৌধুরী রায়হান ইবনে সুলতানের হাতে মোবাইল দেখতে পেয়ে ভিডিও কেন করেছেন জানতে চেয়ে তাকে মারতে যান পারভেজ। রায়হান ভিডিও করেননি বলে জানালে তারা বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে পারভেজ আবার কক্ষে প্রবেশ করে ভিডিও প্রকাশ করলে রায়হানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।