যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি দেশ মাফিয়া দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে একথা শোনার জন্য নয়: আব্বাস

0

আল-জাজিরা টেলিভিশনে বাংলাদেশ নিয়ে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে, তা মিথ্যা প্রমাণ করতে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসনের কারাবন্দীর তৃতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারকে বলতে চাই, আপনারা প্রমাণ করুন আল-জাজিরায় যা কিছু আছে সব মিথ্যা। আমরা আপনাদের সমর্থন দেব।’

মির্জা আব্বাস বলেন, এটি হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বছর। এই সময়ে আমি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করছি। স্মরণ করছি আমার নেতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। কারণ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অনেক সাহসিকতার সাথে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা মুক্তিযোদ্ধা করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। এই কথা শোনার জন্য নয় যে বাংলাদেশে মাফিয়া দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই কথা শোনার জন্য নয়, বাংলাদেশ একটি মাফিয়া রাষ্ট্র। এই কথা আমরা আর কখনো শুনতে চাইনা। আমরা এই সরকারকে বলতে চাই আপনারা দয়া করে প্রমাণ করুন আলজাজিরায় যা কিছু প্রকাশ হয়েছে তার সবকিছু মিথ্যা। আমরা আপনাদের সহযোগীতা করবো প্রমাণ করুন। খালি মুখে ফাঁকা বুলি দিলে চলবে না।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমি আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কাছে বিনীত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমরা এতই দুর্ভাগা, এতই বেআক্কেল যে আমরা তাদেরকে মুক্ত করার কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি। তাই প্রিয় ভাইয়েরা শুধু একটি কথা বলতে চাই, খালেদা জিয়া সারাজীবন কারাগারে থাকবেন এমন কথাও নয়। আজকের এই মানববন্ধন প্রমাণ করেছে দিনে দিনে এই বন্ধন বড় হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির রাস্তা প্রশস্ত হবে এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ ফিরে আসবেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ওয়ান-ইলেভেনে যখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আজকে আমরা এখানে যারা নেতৃবৃন্দ আছি তাদের অধিকাংশই জেলে, তারেক রহমান সাহেবও জেলে। সুস্থ তারেক রহমানকে নিয়ে যাওয়া হল, অসুস্থ তারেক রহমানকে বের করে আনা হলো। সময়টা খুব করুন সময়। তখন আমি আমার সাথে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ কয়েকজন একই জায়গায় ছিলাম, একটি হলে বন্দি ছিলাম। তিনি বলেন, আজকে আমাদের ওবায়দুল কাদের সাহেব ঘরের মধ্যে বসে দামি দামি ঘড়ি, সুট কোট পরে লম্বা লম্বা কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের সাহেব, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ সেলিম, সালমান এফ রহমান সহ বড় বড় নেতারা সেদিন আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তখন তারা সকলেই বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ছিল। ওবায়দুল কাদের সাহেব তো বলেই ফেলেছিলেন যদি আমি এবার ছাড়া পাই তাহলে আর জীবনে রাজনীতি করবো না। উনি এই কথা বলেছেন। আমি সাক্ষী, আমাকে বলেছেন।

তিনি আরো বলেন,১/১১ যে মামলাগুলো হয়েছিলো এখন সেই মামলাগুলোর মধ্যে আওয়ামীলীগ এর যারা ছিলেন তাদের মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। আর খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সহ বিএনপির সকলের মামলা চলমান আছে। এতো বড় একটা অন্যায়, একটা অপরাধ করে আজকে তারা দেশনেত্রীকে বন্দি করে রেখেছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com