তুরস্ককে বাইডেনের না!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান বিক্রি স্থগিত রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা প্রত্যাহার করবে না বর্তমান জো বাইডেন প্রশাসন। তিনি বলেছেন, আমেরিকার কাছ থেকে এফ-৩৫ পেতে হলে তুরস্ককে রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়- পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি রোববার এক বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এফ-৩৫ এবং এস-৪০০ একসঙ্গে রাখা যাবে না। এস-৪০০-এর ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।” কিরবি আরো বলেন, তুরস্ক গত এক দশকে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তে মার্কিন ব্যবস্থা প্যাট্রিয়ট কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারত। কিন্তু তা না করে আমেরিকার এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান কেনার যোগ্যতা হারিয়েছে আঙ্কারা।
তুরস্ক হচ্ছে ন্যাটো জোটভুক্ত প্রথম দেশ যে কিনা রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ সংগ্রহ করেছে। ২০১৭ সালে এ ধরনের চারটি ব্যবস্থা সংগ্রহের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ৫২০ কোটি ডলারের চুক্তি করে তুরস্ক। ২০১৯ সলের জুলাই মাসে এ ব্যবস্থা আঙ্কারাকে সরবরাহ শুরু করে মস্কো যে প্রক্রিয়া এখনো চলছে।
মার্কিন সরকার ২০১৭ সাল থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়ে আসছে। মার্কিন সরকার দাবি করছে, এই চুক্তির মাধ্যমে তুরস্ক রাশিয়ার হাতে বিশাল অঙ্কের বাজেট তুলে দেয়ার পাশাপাশি ন্যাটা জোটের সামরিক প্রযুক্তিকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তবে তুরস্ক ও রাশিয়া আমেরিকার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু আঙ্কারা বলেছে, দেশটি কোনো অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে করা এ সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করবে না।
ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না: জো বাইডেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের পরমাণু সমঝোতার ব্যাপারে তার দেশের কর্মকর্তাদের তেহরানবিরোধী বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন।
তিনি ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় রোববার সিবিএস নিউজ নেটওয়ার্ককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত কোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে না।
তিনি ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়া এবং এই সমঝোতার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে দাবি করেছেন, ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ বন্ধ করতে হবে। বাইডেন দাবি করেছেন, পরমাণু সমঝোতা সম্পর্কে আমেরিকার কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে।
রোববার বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী
আমেরিকা ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার এক বছর পর ইরান এই সমঝোতার ৩৬ নম্বর ধারা মেনে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার মাত্রা বাড়াতে শুরু করে এবং বর্তমানে শতকরা ২০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে তেহরান। পরমাণু সমঝোতায় এই মাত্রা সর্বোচ্চ শতকরা সাড়ে তিন নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী রোববার তেহরানে এক ভাষণে বলেছেন, আমেরিকাকে আগে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করতে হবে। তা না করা পর্যন্ত ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ চালিয়ে যাবে।