কালকিনির সেই প্রার্থীকে পুলিশের গাড়িতে করে ওবায়দুল কাদেরের কাছে নেয়ার অভিযোগ

0

মাদারীপুরের কালকিনি পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী মশিউর রহমান ওরফে সবুজকে পুলিশের গাড়িতে করে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে সাক্ষাৎ করানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে সবুজ বলেন, ‘পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান মিথ্যা বলে আমাকে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুলিশের গাড়িতে ওঠার পর সবুজ নিখোঁজ হয়েছেন এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় শনিবার সন্ধ্যায় তার শতাধিক কর্মী-সমর্থক থানার সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায়। আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থীর সমর্থকদের সাথে সেখানে তাদের সংঘর্ষ হয়। লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে আহত হন শতাধিক মানুষ। ওই ঘটনায় আহত অর্ধশত নেতা-কর্মী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।

গুরুতর অবস্থায় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় দু’জনকে। সংঘর্ষের সময় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দও শোনা যায়। ১১ ঘণ্টা পর শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে বাড়িতে ফেরেন সবুজ।

সবুজ বলেন, ‘আমাকে বিকেলে হঠাৎ পুলিশ সুপার ফোন করে দেখা করতে বলেন। তিনি থানার ওসিকে আমার কাছে পাঠান। তখন আমি ওসির কাছে জিজ্ঞাসা করলে ওসি জানান আইনশৃঙ্খলার ব্যাপারে এসপি আমার সাথে কথা বলবেন। বিকেল ৫টার দিকে সরল বিশ্বাসে ওসির গাড়িতে উঠে এসপির অফিসে যাই। পরে এসপি আমাকে তার গাড়িতে উঠিয়ে ঢাকায় নিয়ে যান।’

’এসপি কেন ঢাকায় নিয়ে গেলেন?’ এমন প্রশ্নে সবুজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে এসপি আমাকে নিয়ে যান। ওবায়দুল কাদের আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে নৌকার প্রার্থী এস এম হানিফের পক্ষে কাজ করতে বলেন।’

সবুজ আরো বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। আমি কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। আমি দলের কাছে মনোনয়নও চাইনি। জনগণের হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছি। তাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনুরোধ করলেও আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবো না। আমি নির্বাচন করবো এবং শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশের মাধ্যমে আমি ঢাকায় গিয়েছি। এসপি আমাকে সত্য বলে ঢাকায় নিতে পারতেন। তাহলে আর এমন সংঘর্ষ হতো না। ওবায়দুল কাদেরের সাথে কথা শেষ করে আমার এলাকার এক বড় ভাইয়ের গাড়িতে কালকিনি ফিরেছি।’

সবুজের অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, ‘সবুজ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে আমার অফিসে এসেছিলেন। পরে তিনি ঢাকায় গেছেন তার ব্যক্তিগত কাজে। আমরা তাকে যাওয়ার সময় সহযোগিতা করেছি। সবুজ নিখোঁজ এই ধারণা থেকে তার সমর্থকরা থানার সামনে বিক্ষোভ করে। তার পরিবার সঠিক ব্যাপারটা জানতে পেরে থানা থেকে চলে যান।’

তিনি আরো বলেন, এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে কালকিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com