নীলফামারী-কিশোরগঞ্জ বাইপাস সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
নীলফামারী-কিশোরগঞ্জ বাইপাস সড়কের ১২শ মিটার হেরিংবন্ড সড়ক নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিনে তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতি ছাড়াই নিজের ইচ্ছামতো নিম্নমানের ইট দিয়ে সড়ক নির্মাণকাজ করছেন ঠিকাদার। এ বিষয়ে সংশিষ্ট তদারকি কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে (নীলফামারী- কিশোরগঞ্জ) বাইপাস সড়কের কালিকাপুর চৌধুরীপাড়া থেকে চাঁড়ালকাঁটা নদীর বাজিতপাড়া ঘাটের ওপর নির্মিত ব্রিজ পর্যন্ত ১২শ মিটার হেরিংবন্ড সড়ক নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়।
সড়ক নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয় ৮২ লাখ টাকা। টেন্ডারে কাজটি পায় নীলফামারীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট কাজের তদারকি কর্মকর্তা ওসমান গণি বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সড়কের বেডকাটিং করার পর বালু ফেলে মজবুত করতে হবে। এরপর হাফ ইঞ্চি পর পর ইটের সলিং বিছিয়ে তারপর বালু দেয়া হয়। বালুর ওপরে এক নাম্বার ইট দিয়ে হেরিংবন্ড সম্পন্ন করতে হবে। কোনো অবস্থাতে সলিং হাফ ইঞ্চির বেশি কিংবা দুই নম্বর ইট ব্যবহার করা যাবে না’।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতি ছাড়াই ঠিকাদার তড়িঘরি করে হাফ ইঞ্চির জায়গায় এক ইঞ্চি থেকে দুই ইঞ্চি গ্যাপ রেখে এবং নিম্নমানের ইট দিয়ে সলিং নির্মাণের কাজ করছেন। এমনকি সলিং নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে বালু দিয়ে সলিং ঢেকে দিয়ে হেরিংবন্ডের কাজ শেষ করছেন।
গ্রামবাসী মঞ্জিল মিয়া, শহিদুল ইসলাম, এনামুল মিয়া, সাবেদ আলীসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এই সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত। সড়কটির নির্মাণকাজ সঠিকভাবে করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। আমরা ঠিকাদারকে নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করলেও তিনি মানছেন না। এভাবে কাজ করার ফলে সড়কটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক বেলাল হোসেন হেরিংবন্ড সড়ক নির্মাণকাজে দুই নম্বর ইট ব্যবহার করার কথা স্বীকার করে বলেন, ভাটা থেকে ইট নিয়ে আসার সময় কিছু খারাপ ইট আসতে পারে।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল করিম বলেন, লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কাজের মান খারাপ হলে প্রয়োজনে কাজ বন্ধ করা হবে।