কাতারের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরিতে আমিরাতের হ্যাকার নিয়োগ
উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিবেশী দেশ কাতারের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করতে ইলেকট্রনিক স্পাই নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। এরই অংশ হিসেবে হ্যাকিংয়ে দক্ষ মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির সাবেক সদস্যদের নিয়োগও দিয়েছিল দেশটি।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দৈনিক সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশজুড়ে থাকা রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডকে সহযোগিতার অভিযোগ প্রমাণের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত হ্যাকিং নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল। আমিরাত ও তার মিত্র সৌদি আরব, বাহরাইন, মিসর মুসলিম ব্রাদারহুডকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচনা করে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, আমিরাতের স্পাই নেটওয়ার্কে কাজ করার জন্য সদস্যদের দ্বিগুণ-চার গুণ পরিমাণ বেতন দিয়েছিল আবুধাবী সরকার।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাথে সাক্ষাতকারে আমিরাতের ওই স্পাই নেটওয়ার্কে কাজ করা সাবেক এক সদস্য বলেন, ‘ওয়াশিংটনের মিত্র এক সরকারের জন্য দুই গুণ বেতনে কাজ করতে গিয়ে আমরা ভুল পথে চালিত হয়েছিলাম।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত এখনো এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বছরের শুরুতে, ৫ জানুয়ারি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর এক চুক্তির মাধ্যমে কাতারের ওপর থেকে সাড়ে তিন বছরের দীর্ঘ অবরোধ প্রত্যাহার করে। ২০১৭ সালের জুনে এই চার দেশ সন্ত্রাসে সহায়তার অভিযোগে কাতারের ওপর অবরোধ দেয়।