ইমরান ভারতের কথা মানছে অভিযোগ করে পতনের দাবিতে মাঠে নামছে বিরোধীরা
কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের কথা মেনে চলছে বলে অভিযোগ করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আগামী ২৬শে মার্চ রাজধানী ইসলামাবাদে লংমার্চ এর ডাক দিয়েছে দেশটির বিরোধী ১১ দলীয় জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)।
পাকিস্তানের এই কট্টর বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের কথা মেনে চলছে বলে অভিযোগ তোলেন। তাদের অভিযোগ, এ কারণে হিমালয় উপত্যাকায় ২০১৯ সালের আগস্টে ভারত তার দখলদারিত্ব বৃদ্ধি করতে সাহস পেয়েছে। এবং কাশ্মীরে ভারতীয় দখলদারিত্ব বন্ধে ইমরান খান ব্যর্থ হয়েছেন।
তবে বিরোধীদের এসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ইমরান। তিনি বলেন, যেকোন চুক্তির জন্য প্রস্তুত আছি। কিন্তু লুটেরাদের আমি কখনোই এনআরও সুবিধা দেবো না। বিরোধী দল যেখানেই চায়, তাদেরকে লংমার্চ আয়োজনে সহায়তা করবো। কিন্তু তাদেরকে এনআরও সুবিধা দিতে পারবো না।
পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতারা ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ সরকারের বিরুদ্ধে তাদের সুনির্দিষ্ট লড়াইয়ের প্রত্যায় ঘোষণা করেছেন।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক বক্তব্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে ও তার দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) সভানেত্রী মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, কাশ্মীরে ভারতীয় সম্প্রসারণ বন্ধে ব্যর্থতার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানে স্বৈরাচারদের শাসনের সময়ও ভারত এমন সাহস দেখানোর কথা চিন্তা করেনি। ভারতকে উপযুক্ত জবাব দিতে কেন ব্যর্থ হয়েছে আমাদের সরকার। আপনাদের নীরবতাই প্রমাণ করে আপনারা দোষী। কাশ্মীরিদের পক্ষে কথা বলতে কেন ব্যর্থ হয়েছেন আপনি? আপনার পররাষ্ট্রনীতি কি?
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, কাশ্মীরকে বিক্রি করে দিতে দেওয়া হবে না এই পাপেট সরকারকে। একজন ‘সিলেক্টেড’ প্রধানমন্ত্রী ভারতের মোদির উপযুক্ত জবাব দিতে পারেন না। পিটিআইয়ের শাসনের অধীনে কাশ্মীরে অপ্রত্যাশিত অভিযান চালিয়েছে ভারত। কাশ্মীর ইস্যুতে এই সরকার সাবেক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের ফরমুলা অনুসরণ করছে। কাশ্মীরে পরবর্তী নির্বাচনের আগে ইমরান খানকে বাক্সপ্যাটরা সহ বিদায় জানাবো আমরা।