ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ না হলে দ. এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না

0

ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ না হলে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘সাম্প্রতিক কাশ্মির পরিস্থিতি এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভারতের পরিবর্তে আমাদের পাকিস্তান-ইরান-সৌদি আরবের সাথে নতুন চুক্তি করা উচিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এখন নিয়মিত গবেষণা করা উচিত, ভারতে প্রতিনিয়ত কি হচ্ছে তার খোঁজ-খবর রাখা উচিত। তাদের সবকিছু আমাদের দৃষ্টিতে রাখতে হবে। তাদের ইঁদুর নীতি বন্ধ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীকে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, মোশাহেদদের আপনার পাশ থেকে সরিয়ে দিন। কাশ্মিরিদের পক্ষ নিন।’

আলোচনায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, ‘ভারত আমাদের কি কি বিষয়ে নাক গলায় তা আমি সেনাবাহিনীতে থাকতে পার্বত্য চট্টগ্রামের দায়িত্বে থাকতে দেখেছি। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে যতটুকু সমস্যা ছিল কাশ্মিরে তার থেকেও বড় সমস্যা চলছে। ভারত এখন কাশ্মিরকে আগ্নেয়গিরি করে রেখেছে। সেখানে চতুর্থ মুক্তি আন্দোলন চলছে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হওয়ার সময় মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট হায়দারাবাদ স্বাধীন দেশ থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত এক রাতের মধ্যে তাদের দমনপীড়ন করে দখল করে নেয়। একইভাবে কাশ্মিরকেও তারা তাদের মধ্যে নিয়ে নেয়। এখন তারা গায়ের জোরে ৩৭০ ধারা ভঙ করে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়েছে।’

জেনারেল ইবরাহিম সরকারকে কাশ্মিরের পক্ষে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ভারতের সাথে আমাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। আগামী দিনে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে তার প্রধান কারণ হবে কাশ্মির। এজন্য সরকারকে কাশ্মিরের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।’

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন বলেন, ‘অনেকে মনে করেন কশ্মিরে সমস্যা হলে আমাদের কী? আসলে কাশ্মির অস্থিতিশীল হলে তার প্রভাব আমাদের উপর পড়ে। ভারত কাশ্মিরের সাথে যে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে তাকে আমাদের সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। আগ্রাসনের বিস্তার যেন না ঘটে সে ব্যাপারে জনগণকে সচেতন হতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনকালে কারো পরগাছা হয়ে যেন থাকতে না হয়।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ হাসান নাসিরের সভাপতিত্বে ও সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ : বাংলাদেশ’র সম্পাদক কর্ণেল (অব.) মুহম্মদ ইসহাক মিয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির আলোচনা করেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. এহসানুল হক মিলন, সামরিক বিশেষজ্ঞ কর্ণেল (অব.) আশরাফ আল দ্বীন পিএসসি, কাউন্টার টেররিজম বিশেষজ্ঞ ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক এ এফ এম করিম, পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর আবুল বাশার খান প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক মহাপরিচালক সাকিব আলী।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com