সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারিকে বদলি
সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে শেষ শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারিকে বদলি করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে উচ্চ আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) নির্ধারিত মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে এফিডেভিট শাখার দুর্নীতিতে হতাশা ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি।
গতকাল মামলার শুনানি করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘আজ (২ ডিসেম্বর) একটি মামলা আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৩ নম্বর সিরিয়ালে থাকার কথা। কিন্তু অদৃশ্যভাবে তা চলে গেছে ৮৯ নম্বর সিরিয়ালে।’
কেন ও কীভাবে এমনটি হলো তা আপিল বিভাগের কাছে জানতে চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মামলার কার্যতালিকা উপর-নিচ করে অনেকেই কোটিপতি হয়ে গেছেন।’
এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এফিডেভিট শাখা কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসালাম। এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে। কিন্তু সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম রুখতে পারছি না। এটা খুবই হতাশাজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের অনেক আইনজীবীও আদালতে আসেন না। বেতন বেশি হওয়ার কারণে এমন হচ্ছে। বেতন কম হলে তারা ঠিকই কষ্ট করে আদালতে আসতেন।’
তখনই তাৎক্ষণিকভাবে এক আদেশে ডেপুটি রেজিস্টার মেহেদী হাসানকে আপিল বিভাগে তলব করেন প্রধান বিচারপতি।
আপিল বিভাগে হাজির হয়ে মামলার সিরিয়াল করা নিয়ে মেহেদী হাসান যে ব্যাখ্যা দেন তাকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান আপিল বেঞ্চ। এসময় ডেপুটি রেজিস্টার মেহেদী হাসানকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।