দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিলো সৌদি আরব

0

মুক্তিপ্রাপ্তদের একজন সালাহ আল হায়দার। তিনি শীর্ষস্থানীয় একজন নারী অধিকারকর্মীর পুত্র। অন্যজন লেখক-চিকিৎসক বদর আল ইব্রাহিম। এক বিবৃতিতে বিলম্ব সত্ত্বেও তাদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভের বেথনি আল-হায়দারি।

তিনি বলেন, তাদের কারাগারে পাঠানো ঠিক হয়নি এবং তাদের মুক্তি অবশ্যই কোনও অস্থায়ীভিত্তিতে না হওয়া উচিত হয়নি।

২০১৯ সালের এপ্রিলে এই দুই সৌদি-আমেরিকানকে গ্রেফতার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগ আনা হয়। আগামী ৮ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

বিচার কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় এমন সময়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে যখন হোয়াইট হাউজে মিত্র ট্রাম্পকে হারিয়েছে রিয়াদ। জো বাইডেনের নেতৃত্বে প্রশাসন এরইমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির ব্যাপারে ট্রাম্পের নীতি বদলে দিতে শুরু করেছে। ক্ষমতায় এসেই সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন বাইডেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির আগাম অনুমোদন দিয়েছিলেন সেগুলোও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন প্রশাসন। দায়িত্ব গ্রহণের পর ২৭ জানুয়ারি নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই পর্যালোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে এটা নিশ্চিত হওয়া যে, আমাদের কৌশলগত লক্ষ্য ও পররাষ্ট্রনীতির বিষয়টি এখানে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে কিনা। এ বিষয়টিই এখন আমরা যাচাই বাছাই করছি।

এর আওতায় বাইডেন প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই দেশের কাছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এর মধ্যে সৌদি আরবের কাছে প্রিসিশন গাইডেড মিউনিশন্স থেকে শুরু করে আমিরাতের কাছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির মতো সিদ্ধান্তগুলোও রয়েছে।

নির্বাচনি প্রচারণায় সৌদি আরবের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পর্যালোচনা বা পুনর্মূল্যায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জো বাইডেন। নির্বাচনে জিতে হোয়াইট হাউজে অভিষেকের এক সপ্তাহের মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নিলো তার প্রশাসন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের বিভিন্ন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বদলে দিতে শুরু করেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবারই (৪ ফেব্রুয়ারি) বাইডেন প্রশাসন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবকে আর সমর্থন দেবে না ওয়াশিংটন।

ইসরায়েলের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং ইরানকে চাপে রাখতে সৌদি-আমিরাতকে কাছে টানার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু মার্কিন নির্বাচনে বাইডেনের বিজয়ে বড় ধরনের ধাক্কা খায় রিয়াদ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিননন্দন বার্তায় ভাসছিলেন জো বাইডেন তখন দৃশ্যত মুখে কুলুপ এঁটেছিল সৌদি আরব। পরে সমালোচনার মুখে তাকে অভিনন্দন জানালেও এজন্য ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় নেয় মধ্যপ্রাচ্যের এই রাজতান্ত্রিক দেশটি। তবে এখন দৃশ্যত নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে তৎপর হচ্ছে রিয়াদ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com