লাদাখ সীমান্তে সেনা তৎপরতা চিনের
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা প্রশমনে বেশ কয়েকবার বৈঠকে করেছে ভারত ও চিন। কিন্তু ওই অঞ্চলে চিনা সেনার প্ররোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া অঞ্চলে সেনা ও সমরসরঞ্জাম বাড়াচ্ছে বেজিং। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে প্ররোচিত করতেই চিন সেনাবাহিনীর এই তৎপরতা। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘সাহস’ নিয়েই কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী।
যে ভিডিয়োটি (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে চিন। ট্যাঙ্ক এবং সাজোঁয়া গাড়িগুলিকে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া বেশ কিছু জায়গায় ৩৫০টি ট্যাঙ্ক নিয়ে আসা হয়েছে। তার একটা বড় অংশ ‘টাইপ-৯৯’-এর মতো আধুনিক ট্যাঙ্ক।
পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা রবারব বেশ কিছু জায়গায় গত ৫ মে থেকে ভারত-চিন সেনার বিবাদ চলছিল। পরবর্তী সময় গালওয়ানে দুই দেশের সেনাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। অবস্থা স্বাভাবিক করতে সেনা স্তরে ইতিমধ্যেই ৯ দফা বৈঠকে করেছে দুই দেশ। গত ২৪ জানুয়ারি ১৬ ঘণ্টা ধরে চলেছিল নবম রাউন্ডের বৈঠক। ওই বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘বাস্তব পরিস্থিতিতে ইতিবাচক ও গঠনমূলক বৈঠক হয়েছে’। ওই ম্যারাথন বৈঠকের দিন কয়েক পরে চিন জানিয়েছিল, সীমান্ত সমস্যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়।
চিন সেনার তৎপরতার খবর প্রকাশ্যে আসতে মোদীকে আক্রমণ করার সুযোগ ছাড়েননি রাহুল। তাঁর টুইট-কটাক্ষ, ‘‘সীমান্তে লাগাতার সেনা তৎপরতা জারি রেখেছে চিন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী চিনের বিরুদ্ধে একটি শব্দ বলতেও ভয় পান। এই পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যজনক, মোদীজির সেই সাহস নেই।’’