হঠাৎ বেড়েছে বিত্তশালীর সংখ্যা
বৈধ আয়ের পথ ছাড়াই রাতারাতি বিত্তশালী বনে যাওয়া কয়েক হাজার মানুষ দেশের বড় আপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের বেপরোয়া কর্মকান্ড দেশ ও সমাজের সর্বস্তরে অসম পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, ঘটাচ্ছে সীমাহীন বিশৃঙ্খলা। সমাজে কোন্দল-সংঘাত, জবরদখলদারি, একচ্ছত্র আধিপত্যের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাসহ লাগামহীন অপরাধ-অপকর্মের নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা। তাদেরই একটি বড় অংশ দলীয় নেতৃত্ব দখল করছে, ছিনিয়ে নিচ্ছে জনপ্রতিনিধির চেয়ার। শুরু হয়েছে শাসন-শোষণের মাধ্যমে রাতারাতি সম্পদ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। ফলে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, তদবিরবাজি থেকে শুরু করে সব ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে বাধাহীনভাবে।
জানা যায়, সর্বশেষ এক দশকে মাদক, টেন্ডার, দলীয় প্রভাব, দখলবাজি, দালালি, প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমেই অন্তত ১০ হাজার কোটিপতির জন্ম হয়েছে। এর বেশির ভাগেরই বৈধ আয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। এর মধ্যে অন্তত ১ হাজার কোটিপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দাখিল হলেও তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ কোনো ব্যবস্থাও দৃশ্যমান নয়। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, উৎসহীন বেশুমার টাকার গরমে তারা সমাজ, দল ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে নানা বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে নিজেদের ক্ষমতা জানান দেয়। সর্বত্রই অসম লড়াই সৃষ্টি করে।
অনুসন্ধানসূত্রে জানা যায়, হঠাৎ বড়লোক বা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার বৈধ কোনো উপায় নেই বাংলাদেশে। ‘যদি লাইগ্যা যায়’ ধরনের লটারিব্যবস্থাও নেই। আছে রাতারাতি অলৌকিক কায়দায় আলাদিনের আশ্চর্য জাদুর প্রদীপ লাভ, ‘ম্যাগনেটিক পিলার’ কিংবা তক্ষক লেনদেনের বাণিজ্য, ঠিকাদারি ব্যবসা চালানো, ইয়াবা বাণিজ্যে অংশগ্রহণ আর তাদের সর্বোত্তম পথ হিসেবে রয়েছে তদবিরবাজির দাপুটে বাণিজ্য।
সর্বজনীন পথ হলো ঠিকাদারি বাণিজ্য : অলৌকিকতার বাইরে রাতারাতি অগাধ টাকার মালিক হওয়ার সর্বজনীন পথ একটাই, তা হলো ?‘ঠিকাদারি বাণিজ্য’। ক্ষমতাসীন দলের লেবাস লাগিয়ে নানা ধূর্ততা, কূটকৌশল আর বহুমুখী প্রতারণাকে পুঁজি করে এ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে একটি মহল। ঠিকাদাররা সরকারের নানা সেক্টরে কাজ করলেও নেই জবাবদিহি, হয় না কোনো নিয়ন্ত্রণ আরোপ, যেমন খুশি তেমনভাবেই লুটপাট চালানো যায়। যার জলজ্যান্ত প্রমাণ হঠাৎ ফুলেফেঁপে প্রতাপশালী হওয়া মিঠু, জি কে শামীম থেকে শুরু করে সাহেদরা।
নানা কূটকৌশল আর নেটওয়ার্ক মেইনটেন করে নিমেষেই কোটিপতি, শত কোটিপতি হয়ে ওঠার আরেকটি নিশ্চিত পথ হলো ইয়াবা বাণিজ্য। ইয়াবার কল্যাণে চাল-চুলোহীন ৫ শতাধিক লোক শত কোটিপতিতে পরিণত হয়েছে, আর কোটিপতি হয়ে উঠেছে অন্তত ৩ হাজার খুদে বিক্রেতা। সম্প্রতি এ ব্যবসা চালানো কঠিন হলেও তা বন্ধ হচ্ছে না মোটেও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় দুর্বৃত্ত কর্মকর্তার সমন্বয়েই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা নানা কায়দা-কৌশলে ইয়াবার বাণিজ্য চালাতে সক্ষম হচ্ছে। বখরা আদায়ের পরিবর্তে ইয়াবা বাণিজ্যে অংশীদারির মাধ্যমে প্রশাসনের একশ্রেণির কর্মকর্তাও হঠাৎ কোটিপতি বনে যাচ্ছেন।
দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে তদবির বাণিজ্য : কোটিপতি হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে তদবির বাণিজ্য। ধোপদুরস্ত পোশাক-পরিচ্ছদ, চলনে বলনে ওভারস্মার্ট তদরিববাজরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সরকারি দফতরে দফতরে, কলকারখানা কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। তদবির বাণিজ্যে ব্যবহার হচ্ছে মুজিবকোট, জনসভা, মিছিলে অংশ নেওয়ার কিংবা নেতার সঙ্গে ছবি। বারবার তা মোবাইল স্ক্রিনে প্রদর্শন করেই তদবিরের আসল বাণিজ্যে নেমে পড়ে এসব ধান্দাবাজ। সরকারি দল বা সহযোগী সংগঠনে পদ-পদবি থাকুক না থাকুক তাতে কোনো সমস্যা নেই।
ক্ষমতাসীন দল বা এর অঙ্গসংগঠনে সদস্যপদ না জুটলেও ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের সঙ্গে নিজের ঢাউস ছবি যুক্ত করতে এতটুকু দ্বিধা নেই। কয়েক ডজন রংবেরঙের প্যানাসাইন টানিয়ে দেয় হাটবাজার, সিএনজিস্ট্যান্ড, খেয়াঘাট, থানার গেট থেকে শুরু করে প্রশাসনিক দফতরের যত্রতত্র। এসব সাইনবোর্ড আর ব্যানার ঝুলতে থাকে দিনের পর দিন। দলীয় পরিচয়ের দৃষ্টিকটু প্রচারকে পুঁজি করেই একটি চক্র দালালি আর তদবিরবাজিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কখনো এককভাবে, কখনো সংঘবদ্ধভাবে এসব দৌরাত্ম্য চালিয়ে তারা লাখ লাখ টাকা কামানোর ধান্দা শুরু করেছে। তবে উঁচু পর্যায়ে বড় ধরনের কর্মকান্ডের সুপারিশসংবলিত এক তদবিরেই ৩২ কোটি টাকা লেনদেনের ঘটনাও শোনা গেছে। রাজধানীর মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় সংঘবদ্ধ একাধিক তদবিরবাজ গ্রুপ গড়ে উঠেছে। তারা ভুক্তভোগী বা আবেদনপ্রার্থীর সঙ্গে রীতিমতো ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে তদবির কর্মকান্ডের ব্যাপারে পাকা চুক্তিবদ্ধ হয় এবং রসিদ দিয়ে টাকা নেয়। চক্রটি বিভিন্ন ব্যাংকের মোটা অঙ্কের বকেয়া ঋণ সমন্বয়, মোটা অঙ্কের লোন উত্তোলনের ব্যবস্থাসহ কোটি কোটি টাকা লেনদেনসংক্রান্ত বিষয়াদি দেখভাল করতে রাজি থাকে। এ তদবিরবাজরা ৫ লাখ টাকার নিচে কোনো কাজে রাজি হয় না।
অনেক ক্ষেত্রেই তদবিরবাজি রীতিমতো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। অফিস-চেম্বার সাজিয়েও কেউ কেউ তদবির আর দালালিতে লিপ্ত। শুধু রাজধানীতেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দফতর, থানা, বিদ্যুৎ-গ্যাস-ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, রাজউক, কোর্ট-কাচারি, প্রশাসনিক দফতরসমূহে ১০ হাজারের বেশি পেশাদার দালাল-তদবিরবাজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন কোনো কাজ নেই যা তদবিরবাজরা করতে পারে না। তদবিরবাজদের সবচেয়ে রমরমা ভিড় থাকে সচিবালয়সংলগ্ন ওসমানী উদ্যানের গাছতলায়। ওখানেই হাজির থাকে নানা কাজের আবেদনকারীরা। মাঝারি শ্রেণির তদবিরবাজরা ব্যস্তসমস্ত হয়েই সচিবালয় গেটের পশ্চিম পাশে গাড়ি থামিয়ে তদবির প্রার্থীর কাগজপত্র, টাকার খাম নিয়েই সচিবালয়ের গেটমুখে ঢুকে পড়ে। এবার তদবিরপ্রার্থী ব্যক্তি গাছতলায় দাঁড়িয়ে সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের দিকে তাকিয়ে তলাগুলো গুনে সময় পার করতে থাকে। গত কয়েক দিন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা যায়, উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন, বকেয়া বিল পরিশোধ, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার, প্রকল্পের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, জলমহাল, চাবাগানের জন্য জমি বরাদ্দ, খাসজমি বন্দোবস্তের নবায়ন, কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি ইত্যাদি হাজারো আবদার নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে আবেদনপ্রার্থীরা। শুধু মন্ত্রণালয়েই নয়, এসব বিশেষ তদবির লীগের নেতারা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের বাসাবাড়ি ও অফিসে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন তদবির নিয়ে। বিভিন্ন জনের চাকরি, বদলি বা ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করতে ধরনা দিচ্ছেন তারা।
তদবির বাণিজ্য এখন সচিবালয় ও মন্ত্রী-এমপিদের বাসভবন থেকে জাতীয় সংসদ চত্বরে বিস্তৃত হয়েছে। সচিবালয়ে ঢোকার একটা ঝক্কি-ঝামেলা আছে বলেই সহজ-প্রবেশ্য সংসদ চত্বরকেই এখন অনেকে তদবিরের মাধ্যমে কাজ আদায়ের বিকল্প জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে। কেউ কেউ আশপাশে অফিস পর্যন্ত খুলে দেদার চালাচ্ছে তদবির বাণিজ্য। ওদিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গড়ে উঠেছে আরেকটা শ্রেণি। তারা চাকরি দেওয়ার নাম করে অথবা মন্ত্রী-এমপিদের সুপারিশ আদায় করে বিনিময়ে বাগিয়ে নিচ্ছে টাকা।
তদবিরবাজ দালালদের সবচেয়ে বেশি দৌরাত্ম্য দেখা যায় ডিএমপির থানাগুলোয়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকেই থানা প্রাঙ্গণগুলোয় ভিড় জমে উঠতে থাকে। তারা থানার অফিসার ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর (অপারেশন) বা ইন্সপেক্টর (তদন্ত)-এর কক্ষকে নিজেদের আড্ডাখানায় পরিণত করে। রাত গভীর হলেই শুরু হয় তদবিরবাজদের আসল দৌরাত্ম্য। থানা পেরিয়ে তদবিরের বিস্তৃতি ঘটে মেট্রোপলিটন পুলিশ দফতর থেকে হেডকোয়ার্টার পর্যন্ত সর্বত্র। এসব দফতরে চলে কনস্টেবল, এসআই, সার্জেন্টসহ অন্যান্য পদে বদলির তদবির। পাশাপাশি মামলার তদবিরও চলে কমবেশি।
বন্ডেড পণ্যেই রাতারাতি কোটিপতি : সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবে দেশের আরও কিছু সেক্টরেও আছে টাকার ছড়াছড়ি আর লুটপাট। বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত বিদেশি কাপড়, সুতাসহ নানা সামগ্রী কৌশলে চোরাগোপ্তা পথে ইসলামপুরসহ কয়েকটি বাজারে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এসব কাপড়, সুতা শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু গার্মেন্ট মালিক নামধারী চোরা ব্যবসায়ী চক্র এসব কাপড় কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। দেশীয় বাজারে নিষিদ্ধ বন্ডেড পণ্যের অবাধ বেচাকেনার মাধ্যমেই চিহ্নিত চোরাকারবারি চক্র অর্থবিত্তের পাহাড় জমিয়ে তুলেছে। চাল-চুলোহীন শূন্য হাতে আসা অনেকেই বন্ডেড ওয়্যারহাউসের চোরাকারবারিতে নাম লিখিয়েই রাতারাতি কোটিপতি হয়ে উঠেছে। সেখানে দু-চার মাস পা ফেলে শত কোটি টাকার মালিকও বনেছে অনেকে। বন্ড সিন্ডিকেটের বেশির ভাগ সদস্যই এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার আকাশছোঁয়া বিত্তশালী হয়ে উঠেছে। অথচ পাঁচ-ছয় বছর আগেও এদের কেউ কেউ ছিল ফুটপাথের হকার, সেলসম্যান কিংবা প্রবাসী শ্রমিক।
দাদনের পুঁজি দিয়েও ক্রোড়পতি অনেকে : সমাজে প্রতিষ্ঠিত পেশার অনেকে সরাসরি ইয়াবা বাণিজ্যে না জড়িয়ে এ ব্যবসায় পুঁজির জোগান দিয়েও অগাধ অর্থসম্পদের মালিক হচ্ছে। মাদকে দাদন ব্যবসা তুঙ্গে উঠেছে। প্রতি ১ লাখ টাকা দাদনে মাসে দেড় লাখ টাকাই লাভ! অলীক এ লাভের খবরে মানুষ ছুটছে মাদক ব্যবসায়ীদের ঘরে ঘরে। নিজেদের কষ্টার্জিত টাকা অবলীলায় তুলে দিচ্ছে তাদের। বিনিময়ে প্রতিদিনই লাভের টাকা হাতে পাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। দেড় শ গুণ নিশ্চিত লাভের আশায় ধনাঢ্যদের পাশাপাশি খুদে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, গৃহবধূ এমনকি এনজিওগুলোর ঋণগ্রহীতারা পর্যন্ত মাদকের ব্যবসায় দাদনের পুঁজি বিনিয়োগ করছে। অন্যদিকে নগদ টাকার জোগান পেয়ে খুদে মাদক ব্যবসায়ীরা এখন ‘মাদকের ডিলারে’ পরিণত হয়েছে, মাদক বাজারের বিস্তারও ঘটছে বেপরোয়া গতিতে। মাদকে ‘পুঁজি বিনিয়োগের’ দাদন বাণিজ্য দেশে প্রচলিত এনজিওসমূহের চক্রবৃদ্ধি সুদ, এমএলএম কোম্পানিগুলোর স্বপ্ন দেখানো ধাপ্পাবাজি এমনকি হুন্ডি কাজলের শতভাগ লাভের ব্যবসাকেও হার মানিয়েছে। সেখানে দেনা-পাওনার হিসাব হয় দিন চুক্তিতে, প্রতিদিনই পরিশোধ করা হয় লাভের টাকা। দাদনের পুঁজিও রয়ে যায় পাওনা হিসেবেই। বিনিয়োগের দেড় শ গুণ লাভের নজিরবিহীন এ বাণিজ্যে বহু মানুষ রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছে। বৈধ আয়ের কোনোরকম উৎস ছাড়াই অর্থ লগ্নিকারীরা চোখের সামনে বেশুমার অর্থবিত্ত, সহায়সম্পদের মালিক হওয়ায় সাধারণ মানুষ হতবাক। তবে পুঁজির বিপরীতে দেড় শ গুণ লাভ হাতানোর লোভ করতে গিয়ে অনেকের পুঁজিসহ সর্বস্ব হারানোরও নজির রয়েছে। রাষ্ট্রীয় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার একটি টিম দেশে ইয়াবাসহ মাদকের বেপরোয়া বাণিজ্যের মূল কারণ নিয়ে অনুসন্ধানে নেমে ‘দাদন ব্যবসা’র চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহে মাদক চোরাচালানে কমবেশি পুঁজি বিনিয়োগের দৃষ্টান্ত থাকলেও রাজধানীর সর্বত্র ‘মাদকে দাদন ব্যবসা’র দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা গেছে।