নতুন সংবিধান নিয়ে আলোচনার এখনই সময়: এরদোগান
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, এখনই সময় নতুন সংবিধানের খসড়া নিয়ে আলোচনা করার।
তিনি বলেন, আদালত ও অর্থনীতির বিষয়ে সংস্কার হওয়া উচিত। শিগগির সংস্কার প্রস্তাবনা প্রকাশ করা হবে।
সোমবার স্থানীয় আঙ্কারার প্রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে দেয়া এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
এরদোগান তার বক্তব্যে মুদ্রাবাজারে তুরস্কের লিরার স্থিতিশীলতার দিকে গুরুত্বারূপ করেন।
করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, আমরা আমাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলো আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি খুলে দেব। তবে যদি করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় তখন তা পুনরায় বন্ধ করে দেয়া হবে।
তুরস্কে গণতন্ত্র আর যাতে বিপন্ন না হয়, যেন ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব না হয়- তার বিহিত করতেই রাজনৈতিক সংস্কার আনে এরদোগান সরকার।
২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বর তুরস্কের একেপি ও এমএইচপি এ দল দুটি সংবিধান সংশোধনের ২১টি প্রস্তাব সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে বিল আকারে উত্থাপন করে। তুরস্কে পার্লামেন্ট মেম্বাররা নিজ দলের প্রস্তাবের বিপক্ষেও ভোট দিতে পারেন। সংবিধানের ৯, ৭৫, ৭৬, ৭৭, ৮৭, ৮৯, ১০১, ১০৪, ১০৫, ১০৬, ১১৬, ১১৯, ১২৫, ১৪২, ১৪৬, ১৫৯, ১৬১, ১২৩ আর্টিকেল কেবিনেটের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত ছাড়াও রাষ্ট্রপতিকে প্রদেশ সৃষ্টির অধিকার প্রদান করেছে।
১৯২৩ থেকে বহাল প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনের পক্ষে মত দেয় তুরস্কের জনগণ। গণভোটের রায়ের ওপর ভিত্তি করে সংবিধান সংশোধন হওয়ার পর ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি পদে ভোটাভুটি হয়। এর মধ্য দিয়ে তুরস্কে সংসদীয় পদ্ধতি থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।
২০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্য রফতানির পরিকল্পনা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও লকডাউনের প্রভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য আমদানি চাহিদা বেড়েছে। এ বিষয়টা সামনে রেখে এ বছর ২০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্য রফতানির পরিকল্পনা করেছে তুরস্ক।
২০২০ সালে খাদ্যশস্য, ডাল ও তাজা সবজি-ফলের ক্ষেত্রে রফতানির উচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। পাস্তা থেকে জুস পর্যন্ত সবধরনের উৎপাদিত খাদ্যের রফতানির আয় ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়কালে বেড়ে ১৮ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে চার দশমিক দুই ছয় ডলার উদ্বৃত্তি নিয়ে প্রথমবারের মতো খাদ্যখাতে প্রতি টন এক হাজার ডলারের বেশি মূল্য ছাড়িয়েছে।
তুরস্কের ফেডারেশন অব ফুড অ্যান্ড ড্রিংক ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ইকনুর মেনলিক বলেন, খাদ্য শিল্পের জন্য সঙ্কট সর্বদাই আলোচ্য বিষয়। আগে থেকেই মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কারণে করোনাভাইরাস মহামারীতে খাদ্য শিল্প সহজেই খাপ খাওয়াতে সক্ষম হয়। দুগ্ধজাত খাদ্য উৎপাদনসহ নতুন নতুন কারখানা চালু করা হচ্ছে।