সু চি আটকে ‘অসন্তুষ্ট’ ভারত, চীন ইস্যুতে ‘দ্বিমুখী কৌশল’

0

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শাসক দলের শীর্ষ বেশ কয়েকজন নেতাকে আটকের মধ্য দিয়ে সামরিক অভুত্থান ও দেশটির নিয়ন্ত্রণ সেনাবাহিনী হাতে চলে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার।

একইসঙ্গে অং সান সু চি’কে আটক করা নিয়েও ‘অসন্তোষ’ ব্যক্ত করেছে নয়াদিল্লি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ধারা ও আইনের শাসন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতির দিকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে নজর রাখছে নয়াদিল্লি। মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরার প্রক্রিয়াকে ভারত সরকার সবসময় সমর্থন করেছে। সেজন্য আইনের শাসন ও গণতন্ত্র ফেরার প্রক্রিয়া বজায় রাখা দরকার। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।

মিয়ানমারের সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে জটিল সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। গেল অক্টোবরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা মিয়ানমার সফর করেন। তখন তার সঙ্গে ছিলেন সেনাপ্রধান নারাভানে। ভারত যেমন গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে, একইসঙ্গে সামরিক শক্তিগুলোর সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ধরে রাখছে।

মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তার জন্যই এমন দ্বিমুখী কৌশল নিয়ে চলছে নয়াদিল্লি। বেশ কিছু জঙ্গিগোষ্ঠী মিয়ানমার থেকে অপারেশন চালায়। তাদের নির্মূল করার জন্য মিয়ানমার সেনাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে মোদী সরকার।

সেইসঙ্গে চীনের একচ্ছত্র আধিপত্য রুখে দেয়ার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কার্যকরী বলেও মনে করে ভারত। আর সে কারণেই বিগত বছরগুলোতে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

এদিকে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং এনএলডির কয়েকজন শীষ নেতাকে দেশটির সেনাবাহিনী আটক করে। এরপরই সারা দেশে এ বছরের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সেনাবাহিনী।

দেশটিতে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরুর কথা থাকলেও তার আগেই ক্ষমতাসীন দলের প্রধান নেত্রী ও দেশটির প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষ নেতারা সেনাদের হাতে আটক হলেন।

বিসিবির খবরে বলা হচ্ছে, অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশটির এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী বলছে, তারা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হেলইংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে যাচ্ছে।

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটলো বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

মিয়ানমারে চলমান এই পরিস্থিতি বাংলাদেশ ‘পর্যবেক্ষণ করছে’ বলে সোমবার সকালে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ড. মোমেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com