হামলা চালিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মাদক ব্যবসায়ীকে নিয়ে গেছে সহযোগিরা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের সময় হামলা করেছে মাদক ব্যবসায়িরা। এসময় এক মাদক ব্যবসায়িকে ছিনিয়ে নিয়েছে তারা। তবে অভিযান কালে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদকব্যবসায়ী রানাকে আটক করা হয়েছে। ছিনিয়ে নেয়া ওই মাদক ব্যবসায়ির নাম আক্তার হোসেন। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বেলা ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার ডিএনডি ক্যানেল সংলগ্ন মিতালীর বাড়ির পাশে অভিযান চালায়। এসময় মাদক ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন ও পুলিশের সোর্স রানাকে আটক করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। তাদের কাছ থেকে ১৫ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে মাদক ব্যবসায়ি আক্তারের সহযোগীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনের ওপর অতির্কিত হামলা করে। এতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক সিপাহী আহত হয়। এসময় মাদকব্যবসায়ি আক্তার হোসেনকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগিরা। মাদব্যবসায়ী আক্তারকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি ঘটনাস্থলে থাকা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের সহকারী উপ-পরিদর্শক মোশারফ হোসেন স্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, রানার অত্যাচারে অতিষ্ঠ কদমতলীসহ সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। রানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। সে সবসময় পুলিশের গাড়িতেই থাকতো। বিশেষ করে রাতে তাকে গাড়িতে নিয়ে ঘুরতো থানা পুলিশ। বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষকে মাদক দিয়ে হয়রানি করতো রানা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের সহকারি পরিচালক সামছুল আলম জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় রবিবার বিকেলে মাদক উদ্ধারে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা হয়। অভিযানে আক্তার হোসেন নামে এক মাদক ব্যবাসায়ি ও রানাকে আটক করা হয়। এসময় মাদক ব্যবসায়ি আক্তার হোসেনের সহযোগীরা আমাদের অভিযানকারী দলের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এবং আক্তার হোসেনকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মাদক ব্যবসায়িদের হামলায় জাহান নামে আমাদের এক সিপাহি আহত হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করবো। একটি মাদক মামলা ও অন্যটি কর্তব্যকাজে বাধাদানের জন্য।