শাহজালালে পৌনে ২ কোটি টাকার স্বর্ণসহ আটক ২
দুই কেজি স্বর্ণসহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুইজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। আটককৃতদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮২ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ করে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে বিমানবন্দরের আগমনী ২ নম্বর টার্মিনালের আউট গেটের পাশের কার পার্কিং এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হজরত বিমানবন্দরের আগমনী ২ নম্বর টার্মিনালের আউট গেটের পাশের কার পার্কিংয়ের পশ্চিম পাশে কাঠ বাদাম গাছের নিচে দুজন ব্যক্তির গতিবিধি দেখে সন্দেহজনক মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের সদস্যরা।
তারা হলেন- কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মো. কামাল পারভেজ (৪১) ও চট্টগ্রামের লোহাগড়ার মো. ফরিদুল আলম (৫০)। জিজ্ঞাসাবাদে এই দুজন সন্দেহজনক কথাবার্তা বলতে থাকেন। পরবর্তীতে তাদের বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশের অফিসে এনে তল্লাশি করা হয়।
মো. কামাল পারভেজের কাছে ছাই ও নেভিব্লু রংয়ের কাঁধ ব্যাগ পাওয়া যায় সেখানে ৮টি গোল্ডবার পাওয়া যায়, যার সর্বমোট ওজন ৯২৮ গ্রাম, আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৬ লাখ টাকা।
এছাড়া সোনার অলংকার পাওয়া যায় ২৬৮ গ্রাম (যাহার মধ্যে ৩টি ব্রেসলেট, ৯টি চেইন, ১টি লকেট, ২টি কানের দুল, ৩টি আংটি, ২টি গলার হার, ১টি ঝাপটা)। এসব অলংকারের আনুমানিক বাজারমূল্য ১৪ লাখ টাকা।
আরও পাওয়া যায় ৩টি নতুন আইফোন ১২ প্রো (১২৮ জিবি), ১টি ব্যবহৃত স্যামস্যাং জে৭ প্রাইম সেট, ১টি ব্যবহৃত নকিয়া ফিচার ফোন, ব্র্যাক ব্যাংকের চেকের পাতা (চার লাখ চুয়াল্লিশ হাজার টাকা)। তার কাছে উদ্ধারকৃত মালামালের সর্বমোট মূল্য ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা।
অন্যদিকে মো. ফরিদুল আলমের কাছে পাওয়া যায় ৪টি গোল্ডবার, যার মোট ওজন ৪৬৪ গ্রাম। ২০০ গ্রাম সোনার অলংকার (যার মধ্যে আংটি-২১টি, লকেট-১৯টি, চেইন-১৪টি, চুড়ি-২টি)। ২ কার্টন ডানহিল সিগারেট, ১টি ব্যবহৃত স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৪ সেট, ১টি ব্যবহৃত স্যামসাং গ্যালাক্সি জে১ সেট, পাওয়ার ব্যাংক, নগদ ৭৩০০ টাকা। তার কাছে উদ্ধারকৃত মালামালের সর্বমোট মূল্য ৩৮ লাখ ২৪ হাজার ৮০০ টাকা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজনই জানান- তারা দীর্ঘদিন যাবৎ চোরাচালানে সম্পৃক্ত। অবৈধ পন্থায় সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়া বিদেশ হইতে সোনার বার ও অলংকার আনা অপরাধ।
তিনি বলেন, জব্দকৃত গোল্ডবার, অলংকার, মোবাইল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের গুদামে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় মামলা করে আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।