আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রেখেছে: ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করছে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল বৃহস্পতিবার নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা ও কিশোরগঞ্জ আংশিক নিয়ে নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নীলফামারী জেলা শাখার আহ্বায়ক বিরোধীদলীয় সাবেক হুইপ শওকত চৌধুরী’র বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র চায়, বাংলাদেশের মানুষ কথা বলতে চায় এবং তারা তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে এমন একটি সময় যখন একটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিনা ভোটে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রায় দশ বছর হয়ে গেছে যেই সময়টা এ দেশের মানুষের শান্তি একদম শেষ হয়ে গেছে।
প্রশাসনের মধ্যে দলীয়করণ করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে গেছে, তারা ক্ষমতায় আসার পর প্রশাসন তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে এ ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমরা দীর্ঘ সময় যাবত লড়াই করছি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা সবসময় গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী মনে করি। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রথমে কারাগারে, এখন গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। আজকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। ইলিয়াস আলী, হিরু, চৌধুরী আলমসহ প্রায় ৫০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শওকত চৌধুরীর যোগদানের মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র চায়। তিনি এসেছেন এমন এক সময় যখন বিএনপি সবচেয়ে কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে বরণ করে নিচ্ছি।
ফখরুল বলেন, গতকাল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হলো, এ নির্বাচনে আপনারা পত্র-পত্রিকায় দেখেছেন দুজন মারা গেছেন, কেউ বলছে তিনজন। সেখানে বিএনপি এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। শারীরিক নির্যাতন করে তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে তারা ব্যবহার করছে। এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে এখন বিএনপির প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নয় প্রশাসন।
যোগদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল গফুর সরকার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদ, রংপুর জেলা বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।