ছাত্রলীগ সম্পাদকের নেতৃত্বে কাউন্সিলর প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ
মৌলভীবাজার পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আসাদ হোসেন মক্কু ও তার সমর্থকদেরকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের নেতৃত্বে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে শহরের মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ এলাকায় ওই কাউন্সিলর প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে দুই প্রার্থীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে সেখান থেকে বিরোধী প্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. পিন্টু আহমদ এবং তার অনুসারীরা অপর কাউন্সিলর প্রার্থী আসাদ হোসেনের উপস্থিতিতে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায়। হামলায় দুটি নির্বাচনী অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।
কাউন্সিলর প্রার্থী আসাদ হোসেন মক্কু বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা করে। প্রথমে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার মাথা লক্ষ্য করে হামলা চালালে তা প্রতিহত করেন এক সমর্থক আব্দুল বাছিত। দায়ের কোপে তার হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে যায়। এ সময় তাদের আক্রমণে আরও চারজন গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।