যা হয়েছে তা নির্বাচন নয় নির্যাতন: ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন নগরবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,‘ বুধবার যে নির্বাচন হয়েছে তা নির্বাচন নয়, এটা একটা নির্যাতন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর দলীয় নেতাকর্মীদের যে সমর্থন ও ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তাতে আমি অভিভূত। নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রমে করে আমাকে যে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছে, তাতে আমি নির্বাচনের মাঠে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াসহ তৃণমূলের সব নেতাদের উপদেশ পরামর্শ নির্বাচনে সহযোগিতা করেছে’।
ডা. শাহাদাত হোসেন বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘গণমাধ্যম যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছে তাতে আমার বক্তব্য জনগনের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি-নেতারা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে যে ভোট ডাকাতির পাতানো নির্বাচন সম্পন্ন করেছে, সেটা শত সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও মিডিয়ার কারণেই দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়েছে। সবাই দেখেছে, নির্বাচনের নামে বুধবার চট্টগ্রামে কি হয়েছে!’
তিনি আরো বলেন, ‘মামলা-হামলা, সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধমকি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাহীন হয়রানি, বাধা-নির্যাতন, শত প্রতিকূলতার পর চট্টগ্রামের জনগণ আমাকে তাদের সমর্থন অব্যাহত রেখেছিল। এ কারণে ভয় পেয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেয়নি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ ন্যূনতম সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলেই জনগণ ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে আমাকেই নির্বাচিত করত। চট্টগ্রামের বীর জনতাকে আমি হৃদয় থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই’।
এ সময় সাংবাদিকদের ডা. শাহাদাত বলেন, ‘জনগণের ভোটার অধিকার, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার শপথ নিতে হবে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। বুধবার যে নির্বাচন হয়েছে তা নির্বাচন নয় এটা একটা নির্যাতন। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের দখলে ছিল ভোটকেন্দ্র। সারা বিশ্ববাসী তামাশার এই নির্বাচন উপলব্ধি করেছে। এই সরকারকে একদিন না একদিন জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে’।