রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা বিবেচনার আশ্বাস চীনের
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজভূমে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টি সহৃদয়তার সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন চীনের ভাইস চেয়ারম্যান অব ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (ডেপুটি স্পিকার) জি বিনজং।
চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে এ কথা জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডেপুটি স্পিকার বলেন, চীন সফরকালে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সে দেশের ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে মিয়ানমারের নির্যাতিত ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। তিনি তাদের খাদ্য ও চিকিৎসাসহ সকল প্রকার সুবিধা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের দায়িত্ব নেওয়া অসম্ভব। এ জন্য তাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের প্রতি চাপ সৃষ্টির জন্য চীন সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
জবাবে চীনের ডেপুটি স্পিকার বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় সমস্যা। আলোচনার মাধ্যমেই ওই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিৎ।
অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী বলেন, চীনের ডেপুটি স্পিকারের বক্তব্যের জবাবে আমি বলেছি, বিষয়টি এখন আর দ্বিপক্ষীয় নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। একাধিক চুক্তিও হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত চুক্তি লঙ্ঘন করেছেন। তাই বিষয়টি মানবিকতার দৃষ্টিতে দেখে সমস্যা-সমাধানে বিশ্ববাসীর মিয়ারমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন। জবাবে বিষয়টি সহৃদয়তার সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেন চীনের ডেপুটি স্পিকার।
গত ২৭ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ ডেপুটি স্পিকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সংসদীয় প্রতিনিধি দল। সম্মেলন শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরেছেন তিনি। ডেপুটি স্পিকার সম্মেলনের মূল অধিবেশনে বক্তৃতা ছাড়াও স্ট্যান্ডিং কমিটি অব হাইডিয়ান পিপলস কংগ্রেসের চেয়ারম্যান লিউ চাং লি-এর সঙ্গে বৈঠক এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।