চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চরম সহিংস পরিস্থিতি বিরাজ করছে : রিজভী
ভোটকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় চরম সহিংস পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, আজকের চসিক নির্বাচনে সকাল থেকে সহিংসতা শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ভোটাররা যাতে ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে, তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। পুলিশের কাছে বিএনপি প্রার্থী অভিযোগ দিলে পুলিশ বলছে, তারা কিছু করতে পারবে না।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চসিক নির্বাচনের প্রথম ৩ ঘণ্টার ঘটনাবলির সংক্ষিপ্ত চিত্র সিইসিকে দিয়েছে বিএনপি।
চসিক নির্বাচনকে চূড়ান্ত পর্যায়ের তামাশা ও প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন সুষ্ঠু নির্বাচন নামক শব্দটি মানুষের কাছে অচেনা হয়ে যাবে। এরা ভোটারদের ভোটাধিকার মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। এরা বিরোধী দল, ভিন্ন মত, সমালোচনার ভয়ঙ্কর শত্রু। তাদের আমলে শঙ্কা ও ভয় জনগণকে ঘিরে থাকে।
অভিযোগ করে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন বলেন, আওয়ামী সরকারের যে বৈশিষ্ট্য নির্বাচনকে ঘিরে সেই নির্বাচন হবে কেড়ে নেয়ার নির্বাচন, ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে না আসতে দেয়ার নির্বাচন, বিএনপি প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া বা গ্রেফতার করা। একইভাবে তা এখনও চলছে। আজ সকাল ৮টায় যে নির্বাচন শুরু হয়েছে, দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে ধানের শীষের এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচনী কার্যালয়ের যৌথ প্রযোজনায় আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পুলিশের দিকে অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, চসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে পুলিশি তাণ্ডব চলছে। সেখানে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকালই পুলিশ কমিশনারসহ বিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিটিং করে নির্দেশনা দিয়েছেন, কীভাবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘পাইকারিহারে’ মামলা ও গ্রেফতার, এজেন্টদের গ্রেফতার ও বিএনপি নেতাকর্মীদের এলাকা শূন্য করে ভোট ডাকাতি করা যায়। আজ সকাল থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী সেই কাজটি তারা করেছেন। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য যত ধরনের ম্যাকানিজম আছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা একসঙ্গে মিলে সেই কাজটি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত দেড় শতাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে।