জানাজার নামাজে গিয়ে লাঞ্ছিত হলেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী
আসন্ন সরিষাবাড়ী পৌর নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হয়েছেন ফজলুল হক খান। সম্প্রতি একটি জানাজার নামাজে অংশ নিতে গিয়ে নৌকার সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন তিনি। সোমবার সকাল ১১টার দিকে পৌর কামরাবাদ পশ্চিমপাড়া ঝিনাই ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত মেয়রপ্রার্থী ফজলুল হক খানকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী পৌরসভার কামরাবাদ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কদ্দুছ (৬৫)। তিনি দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর রোববার বিকেল ৫টার দিকে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। তিনি দীর্ঘ দিন নারায়ণগঞ্জের কাচপুর মালেক জুট মিলে ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন। পরের দিন সোমবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ির পাশে ঝিনাই ফিলিং স্টেশনের সামনে ধানের বয়লার মাঠে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নিতে মোটরসাইকেলযোগে আসেন আসন্ন পৌর নির্বাচনের স্বতন্ত্র (নারিকেল গাছ) মেয়রপ্রার্থী ফজলুল হক খান। এ সময় মোটরসাইকেল পার্কিং করার সময় ২০ থেকে ২৫ জন নৌকার সমর্থক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হন মেয়রপ্রার্থী ফজলুল হক খান। এ সময় জানাজার নামাজে অংশ নিতে আসা লোকজন হামলাকারীদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে মেয়রপ্রার্থী ফজলুল হক খান বলেন, ‘জানাজায় অংশ নিতে গেলে নৌকারপ্রার্থী মনির উদ্দিনের সমর্থকরা আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় লাঠি-সোটা দিয়ে পিটিয়ে আমাকে আহত করে। আমি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছি।’
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী (নৌকা) মনির উদ্দিন বলেন, ‘কিছু বাজে ছেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি আমি দেখছি।’
তবে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এ ব্যাপারে কোনো নিউজ লেখা যাবে না।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো: ফজলুল করিম বলেন, ‘খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনার পর হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’