গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির কাছে, জিয়াউর রহমান একটি সাহসের নাম: তারেক রহমান

0

মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভাসহ দেশে বিদেশে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৫ তম জন্ম বার্ষিকী।

গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারী )জন্মবার্ষিকীর আলোচনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সফল ব্যক্তিত্ব। ছিলেন সফল রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর সাফল্যের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে এখন খোদ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতার ঘোষকের ব্যর্থতা খুঁজে বের করতে রীতিমতো গবেষণা চলছে। শহীদ জিয়ার ব্যর্থতা যদি গবেষণা করে বের করতে হয়, এটাই বরং স্বাধীনতার ঘোষকের আরেকটি সফলতা।

জিয়াউর রহমানের ৮৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন, বিএনপি মহাসচির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়াও সভায় আরো বক্তৃতা করেন, বিএনপির জাতীয় ও সকল জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।

সভায় তারেক রহমান বলেন, এক ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর দেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্ন-স্বাধ আকাঙ্খা ধুলিস্মাৎ হতে পারেনা। রাষ্ট্র ও সমাজের টেকসই অগ্রগতির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। জ্ঞানী-গুণী-শিক্ষিত-সম্মানিত ব্যক্তিদের অবজ্ঞা অবহেলা করে কোনো রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ এগুতে পারেনা।

তিনি বলেন, একটি দেশ শুধুমাত্র রাজনীতিবিদদের ইচ্ছে-অনিচ্ছার ঘেরাটোপে আটকে থাকবে জিয়াউর রহমান এমন বাংলাদেশ চাননি। জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন দেশের উন্নয়ন কাঠামোয় রাষ্ট্র ও সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণ। জিয়াউর রহমানের সেই উদ্যোগকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে আগামীতে জনরায়ে বিএনপি পুনরায় সরকার গঠন করলে রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিভিন্ন শ্রেণী -পেশা এবং সফল ও গুণী মানুষদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।

সরকারে কিভাবে বিভিন্ন শ্রেণী -পেশার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, হাউস অফ লর্ডসের আদলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গঠন করা হবে পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ। শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন গোষ্ঠী, শ্রেণী-পেশার নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি এই পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের প্রতিনিধি হবেন। হাউস অফ লর্ডসের আদলে পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের প্রতিনিধিদের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণী ভূমিকা থাকবে।

প্রবাসীদের ভোটাধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি রাষ্ট্র কাঠামোয় প্রবাসীদের ভূমিকা নিশ্চিতেরও প্রতিশ্রুতি দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানেই উদ্যোগে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির বসবাস করছেন। এই প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গঠন করেছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি আবারো সরকার গঠন করলে দেশে প্রবাসীদের ভোটাধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবাসীরা অবদান রাখছে, বিএনপি সরকারও প্রবাসীদের অবদান মূল্যায়ন করবে।

বিএনপির ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে জানতে হলে,বুঝতে হলে অন্য কারো বিরোধিতা
কিংবা অন্য কারো সঙ্গে তাঁর তুলনা করার প্রয়োজন নেই। বরং তিনি তাঁর প্রতিটি কাজের মধ্য দিয়েই স্ব-মহিমায় ভাস্বর। তিনি বলেন, স্বাধীনতা অর্জন কিংবা মাতৃভুমির স্বাধীনতা রক্ষা, জাতির প্রতিটি ক্রান্তিলঘ্নেই, জনগণ জিয়াউর রহমানকে পেয়েছিলো ত্রাতার ভূমিকায়।

তারেক রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। অপ্রস্তুত ও দিকনির্দেশনাহীন স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে শহীদ জিয়ার সেই স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল তূর্যধ্বনির মতো। শহীদ জিয়া শুধুমাত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, এ কারণেই বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির কাছে, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির কাছে, জিয়াউর রহমান একটি সাহসের নাম।
একটি প্রেরণার নাম। জাতীয়তাবাদী শক্তির কাছে জিয়াউর রহমান মানে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে
জিয়াউর রহমান মানে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য-মানবিক মর্যাদা-সামাজিক সুবিচার’।

স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের শাসনামলের পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী দল ও মতের প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল, পেশাদার খুনি রক্ষীবাহিনীর জন্ম দিয়েছিলো, রক্ষীবাহিনীর খুন – অপরাধের বিচার বন্ধে সংবিধানে প্রথম ইনডেমনিটি জারি করেছিল, একদলীয় কুখ্যাত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল , সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিল । তারা দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের জন্ম দিয়েছিলো।

অথচ এর বিপরীতে,স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃ প্রবর্তন করেছেন। আওয়ামী লীগকে দেশে নিজ নামে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য থেকে বের করে এনে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তারেক রহমান বলেন, জনগণ জানতে চায় স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে আওয়ামী লিগ কেন ব্যর্থ হলো অপরদিকে শহীদ জিয়া কিভাবে সফল হলেন ?

তারেক রহমান আরো বলেন, এ প্রশ্নের জবাবে যারা বলেন স্বাধীনতার পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছু করা সম্ভব হয়নি তারা ঠিক বলছেন না। কারণ স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগের শাসনামল এবং জিয়াউর রহমানের শাসনামল, এই দুই শাসনামলের মধ্যে
সময়ের ব্যবধান খুব বেশি নয়। সুতরাং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে কারো ব্যর্থতার বা অযোগ্যতার দায় এড়ানো সম্ভব নয়।

বরং বাস্তবতা হলো, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য লড়াই করা সাহসী মানুষগুলো যাদের অনেকেরই হয়তো তখনো যুদ্ধের ক্ষত শুকায়নি। সেইসব দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা দেখছিলো, তাদের তাজা রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত সদ্য স্বাধীন দেশটির ক্ষমতায় যারা বসেছিল তাদের শাসন নীতি ছিল পাকিস্তানিদের মত। ক্ষমতায় গিয়েই তারা গণতন্ত্র ভুলে গিয়েছিলো, ভুলে গিয়েছিলো মানুষের স্বাধীনতার কথা।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ খেয়ে না খেয়ে একবুক রক্ত দিয়ে বাংলাদেশটা কেন স্বাধীন করেছিল, স্বাধীনতা পরবর্তী ক্ষমতাসীনরা সেটি বোঝার চেষ্টা করেনি বরং বিতাড়িত পাকিস্তানিদের মতোই তারা খুন গুম আর জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে জনগণকে দাবিয়ে রাখার কৌশল নিয়েছিল। সাম্য-মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সু-বিচার …মুক্তিযুদ্ধের এই মূলমন্ত্রে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লিগ সরকারের শাসন-প্রশাসন চলছিলো বিতাড়িত পাকিস্তানী কায়দায়। অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলিতে অস্ত্র হাতে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেয়া জিয়াউর রহমান। তিনি জনগণের চাওয়া পাওয়া বুঝতে পেরেছিলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সবাইকে বাঙালি বানাতে গিয়ে অন্য ভাষা ও গোষ্ঠীর মানুষের মনে আওয়ামী লীগ শুরুতেই অবিশ্বাস ও বিরোধের জন্ম দিয়েছিলো। অপরদিকে স্বাধীন বাংলাদেশে ভাষা-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় স্বাধীনতার ঘোষক দিয়েছিলেন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে’র দর্শন।

তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি, ব্যাংক ডাকাতি এবং বেপরোয়া লুটপাটে বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছিলো ‘তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে। জিয়াউর রহমানের শাসনামলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিত হয়ে উঠেছিল একটি কার্যকর, কল্যাণ ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে।

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একটি বিষয় সবাইকে স্মরণ রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলো অপরদিকে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নিয়েছিল। তবে সেই জনগণই জিয়াউর রহমানের শাসনামলে খাল খনন কর্মসূচি সফল করতে ‘কোদাল’ হাতে তুলে নিয়েছিল।

কারণ, জিয়াউর রহমান জনগণকে বিশ্বাস করেছিলেন, জনগণও জিয়াউর রহমানকে বিশ্বাস করেছিল। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অস্ত্র হাতে যে দেশটি তিনি স্বাধীন করেছিলেন আবার সে দেশটি গড়তে জনগনের সঙ্গে ‘কোদাল’ হাতে তুলে নিয়েছিলেন।

জিয়াউর রহমান এইসব গণমুখী উদ্যোগের অর্থনৈতিক সুফলও পেয়েছিলো দেশ । ১৯৭৭-৭৮ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য শস্য উৎপাদিত হয়েছিল। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে যেখানে দুর্ভিক্ষে প্রায় ১০ লক্ষ লোক মারা গিয়েছিলো সেখানে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে খাদ্যভাব দূরে থাকুক, আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ বিদেশে চাল রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছিল। জিয়াউর রহমানের উদ্যোগেই বিদেশে বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির দ্বার খুলেছিলো।

তারেক রহমান বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন এমন একটি বাংলাদেশ যে দেশটি হবে গণতান্ত্রিক। যে দেশে ‘চির উন্নত মমশির’ নিয়ে
বেড়ে উঠবে লক্ষ -কোটি ‘আবরার’ । যে দেশে শক্তিমান সেনাবাহিনী থাকবে । যে দেশের নাগরিকরা নিজ দেশে পরাধীন থাকবেনা। যে দেশের নাগরিকরা সীমান্তে ফেলানী হয়ে ঝুলে থাকবেনা। যে দেশে কেউ চাইলেই রোহিঙ্গাদের ঠেলে পাঠানোর সাহস করবেনা। ঠিক তেমনি একটি বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষকের নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল।

তারেক রহমান বলেন, সেই বাংলাদেশের আজ একি অবস্থা। দেশটি এখন স্বামী-স্ত্রীর কূটনীতির গ্যাড়াকলে। দেশ এখন জিম্মি হয়ে আছে
গণতন্ত্র বিনাশী দুষ্ট চক্রের হাতে। ‘ভোট ডাকাত’ / ‘ব্যাংক ডাকাত’দের হাতে। রাষ্ট্র ও সরকারে এখন দেশের জ্ঞানী-গুণী শুভবোধ সম্পন্ন মানুষের অংশগ্রহণ নেই।

তিনি বলেন, রাজনীতি, শিক্ষা, শিল্প, সাহিত্য জীবনের নানাক্ষেত্রে দেশে- বিদেশে যারা অনন্য, এমন গুণী ও সফল মানুষদের সাফল্যের
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ দু’টি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। একটি ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অপরটি ‘একুশে পদক’ ।
এই দু’টি পুরস্কারই প্রবর্তন করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় এসেছিলেন তখন রাষ্ট্র ও সরকারে
মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ‘সাম্য-মানবিক মর্যাদা-সামাজিক সুবিচার’ ছিল অনুপস্থিত। বর্তমানেও, নিশিরাতের এই সরকারের আমলে
মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি মূল্যবোধও আর অবশিষ্ট নেই. এই সরকার ১১ কোটি মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে তামাশা করছে।
এ তামাশা চলতে পারেনা, চলতে দেয়া যায়না। তাই মানুষকে মুক্তি দিতে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে আরেকটি বিপ্লব প্রয়োজন। আরেকটি গণ গণঅভুথান এখন সময়ের দাবি।

তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি দেশ বাঁচা-মানুষ বাঁচাও স্লোগানে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিম রহমানসহ অনেকে। সভা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com