স্বাধীনতার পর আ. লীগ নেতার বাড়িতে ছিলেন বাচ্চু রাজাকার!
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত পলাতক আসামি আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রায়নগর কাজিবাঁদা গ্রামে ২১ দিন ছিলেন আত্মগোপনে। তিনি ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি রমজান আলী খানের বাড়িতে। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জিল্লল হাকিম।
সভা শেষে সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-১ আসনের এমপি কাজী কেরামত আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস এম নওয়াব আলী। গতকালের সভায় নওয়াব আলীকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের কথা তোলা হয়। তখন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলীয় সভানেত্রী চিঠি দিয়ে মাফ করে দিয়েছেন। তা ছাড়া এর চেয়ে গুরুতর অভিযোগও তো আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। সে ব্যাপারে তো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি রমজান আলী খানের বাড়িতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার যুদ্ধপরবর্তী সময়ে টানা ২১ দিন আত্মগোপনে ছিলেন।
অভিযোগ স্বীকার করে রমজান আলী খান কালের কণ্ঠকে বলেন, তিনি সে সময়ে রাজধানী ঢাকায় পড়াশোনা করতেন। ছুটিতে বাড়িতে এসে দেখেন তাঁদের বাড়িতে বাচ্চু রাজাকার অবস্থান করছেন। ২১ দিনের দিন তাঁকে তিনি তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। তিনি কাউন্সিলে এবারও সভাপতি প্রার্থী। মূলত এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এসব অমূলক অভিযোগ তোলা হচ্ছে।