শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম বাংলার আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র

0

প্রথমেই বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণে করছি রণাঙ্গনের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীরউত্তম) কে,। মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, জেড ফোর্সের সর্বাধিনায়ক, রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের আজ ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।

১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় নিভৃত পল্লী বাগবাড়ীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম,।

১৯৭১ সালে জাতির সবচেয়ে বড় বিপদের দিনে মুক্তিপাগল দিশেহারা জনগণের কাছে একটি “অবিস্মরণীয় কণ্ঠস্বর” তাদের হৃদয়ে আশার সঞ্চার করেছিল,। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে জাতির সেই ক্রান্তিলগ্নে ভেসে এসেছিল একটি কণ্ঠস্বর ‘আমি মেজর জিয়া বলছি,। সেই কণ্ঠ সেদিন অযুত প্রাণে নতুন সঞ্জীবনী মন্ত্র এনে দিয়েছিল,। মেজর জিয়ার কণ্ঠস্বর শুনে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে দিশেহারা গোটা জাতি,। আমি মেজর জিয়া বলছি…বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি’- তার এই অবিস্মরণীয় অবিনাশী ঘোষণায় পথহারা মুক্তিকামী জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ে মরণপণ মুক্তিযুদ্ধে,।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন,। একজন সৈনিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও তাঁর জীবনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দেশের সকল সঙ্কটে তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে বার বার অবতীর্ণ হয়েছেন,। দেশকে সংকট থেকে মুক্ত করেছেন,। অস্ত্র হাতে নিয়ে নিজে যুদ্ধ করেছেন,। যুদ্ধ শেষে আবার পেশাদার সৈনিক জীবনে ফিরে গেছেন,।

জিয়াউর রহমান সময়ের প্রয়োজনেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি,। তাঁর গড়া (বিএনপি) রাজনৈতিক দল তার সহধর্মিণী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আজ দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃত,। আর বেগম খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতৃত্বে পরিণত হয়েছেন,। জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তায় খালেদা জিয়া তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন,। অসাধারণ দেশপ্রেমিক, অসম সাহসীকতা, সততা-নিষ্ঠা ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক জিয়াউর রহমানের অবদান দেশের জন্য অবিস্মরণীয়,।

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ ও বাংলাদেশীদের বিশ্ব মানচিত্রে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত করিয়েছেন স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে,। জাতির মর্যাদাকেও বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত করেছেন তাঁর শাসনামলে,।

আজকের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের পিছনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ছাড়াও মহান স্বাধীনতার যুদ্ধকে পরিচালনা ও নীতিনির্ধারণে তার প্রজ্ঞা, দায়িত্ববোধ ও রণকৌশলে তিনি ছিলেন স্বাধীনতাযুদ্ধের এক অবিনশ্বর নক্ষত্র,। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে বাংলার সাধারণ জনগণের হৃদয়ে এই মহান নেতা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত থাকবে,।

আজ জাতির গভীর সংকটময় মুহুর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম শুভ জন্মদিন,।

বাংলাদেশের রাখাল রাজা, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের যখন ৮৫তম জন্মবার্ষিকী, আজ ঠিক সেই মুহুর্তে জিয়া পরিবারের উপর বর্তমান অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ষড়যন্ত্রমূলক মামলাগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে,। আজ বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বোঝা নিয়ে বৈদেশে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে,। আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাবন্দী করে রাখার পর এখন সুচিকিৎসার অভাব দিয়ে অসুস্থ অবস্থায় গৃহবন্দী করে (এক প্রকার কারাগারে) রেখেছে,। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের নীলনকশার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে,। একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জগদ্দল পাথরের মতো জনগণের উপর চেপে বসে আছে,।

তাই আসুন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে জনগণকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হই, অঙ্গীকারবদ্ধ হই জনগণকে তাদের মালিকানা-মর্যাদা মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে,।

নিশ্চয়ই আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারকে সরিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে জনগণ জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়েই, বাকশাল কায়েম করা আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবেই হবে ইনশাআল্লাহ,।

পরিশেষে আবারও জানাই শুভ জন্মদিন হে ক্ষনজন্মা বীর, হে স্বপ্নের মহানায়ক,। আবারও জানাই আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি,। এবং প্রার্থনা করি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট, যেনো মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের মহান প্রিয় এই নেতাকে জান্নাতের সব চাইতে শ্রেষ্ঠতম স্থানে অধিষ্ঠিত করেন, (আ’মীন)।

-ডালিয়া লাকুরিয়া

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com